বিভিন্ন মন্দির ও মণ্ডপে চলছে পূজার চূড়ান্ত প্রস্তুতি। পূজায় দেবী উপাচার ও ভক্তদের আপ্যায়ণের জন্য ফল, মিষ্টির পাশাপাশি নারিকেলের নাড়ু ও ধানের খই, লাড্ডু অন্যতম খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
ফলে প্রতিবছর লক্ষ্মী ও কালি পূজার কয়েকদিন আগে থেকেই বাঙালি হিন্দু বাড়িতে নারিকেল নাড়ু ও লাড্ডু তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন গৃহবধূরা।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত অবদি যশোরের বিভিন্ন এলাকার গ্রামাঞ্চলে দেখা গেছে, নারিকেল নাড়ু তৈরিতে মহাব্যস্ত সময় পার করছেন গৃহবধূরা। কোনো কোনো বাড়িতে দলগতভাবে নাড়ু তৈরি করতে দেখা গেছে।
কেশবপুর উপজেলার কড়িয়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বন্দনা রানী বাংলানিউজকে বলেন, ‘পূজা উপলক্ষে ঘরে ঘরে নারিকেল নাড়ু ও ধানের খই তৈরির ধুম পড়ে, এবছরও ব্যাতয় ঘটেনি। বুধবার রাতে তিনিসহ এলাকার অধিকাংশ বাড়িতে নাড়ু তৈরির ধুম পড়েছিলো। তবে গ্রামের রেওয়াজ অনুযায়ী, নাড়ু তৈরির কাজে পাড়ার অন্য নারীরাও একে-অপরকে সাহায্য করতে দেখা গেলো।
তিনি আরও বলেন, যুগ যুগ ধরে পূজাতে গ্রামের অধিকাংশ হিন্দু-মুসলমান বাড়িতে আসেন, আর সবাইকে অন্য খাদ্যের পাশাপাশি খই-নাড়ু দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
বাংলাদেশ সময় ১৫১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৭
এএটি