বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে উর্মিকে হত্যার করার কথা স্বীকার করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আসামি মুসলেম ও তার স্ত্রী রাজিয়া আক্তার। এর আগে বুধবার দুপুরে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
আশুলিয়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল আলম বাংলানিউজকে জানান, দুপুরে হত্যার দায় স্বীকার করে দু’জনেই ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তারা বলেন, কয়েকমাস আগে আশা ফাউন্ডেশন থেকে ৯৮ হাজার টাকা ঋণ নেন মুসলেম। এরপর তিনি ঋণের কিস্তির টাকা ঠিকভাবে পরিশোধ করছিলেন না।
এদিকে, পেশাগত কারণে তাকে কিস্তির টাকার জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন আশা ফাউন্ডেশনের কর্মী সাবিনা। ১৪ অক্টোবর তিনি টাকা তোলার জন্য মুসলেমের বাড়ি গেলে মুসলেম ও তার স্ত্রীসহ কয়েকজন গলায় রশি পেঁচিয়ে সাবিনাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ ড্রামে ভরে রাখেন। এরপর রাত ১টার দিকে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে একটি পরিত্যক্ত জমিতে মরদেহ পুঁতে রাখেন।
১৪ অক্টোবর সাবিনা নিখোঁজ হওয়ার পর আশা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। এরপর সাবিনার মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে সর্বশেষ অবস্থান মুসলেমের বাড়িতে পাওয়া যায়।
পরে মুসলেম ও তার স্ত্রীকে আটক করার পর জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে তাদের নিয়ে রাতে সাবিনার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
হত্যার পর সাবিনার কাছে থাকা কিস্তির প্রায় দুই লাখ টাকা লুট করা হয় বলেও জানান এসআই আশরাফুল আলম।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৭
আরবি/এসআই