বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ঢাকার সাত নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুন্সি রফিউল আলম রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
এদিন জামিনে থাকা তিন আসামি নিহতের স্ত্রী মুক্তা জাহান, তার পরকীয়া প্রেমিক জসিম ও জনৈক মাহবুবুর রহমানের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রায় ঘোষণার আগে চার্জশিটের ২৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। সাক্ষীর তালিকায় রয়েছেন নিহত জাহাঙ্গীর ও প্রধান আসামি মুক্তা জাহানের ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে অ্যামি, ৭ম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে মাশরাফি রাব্বানি, ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের তৎকালীন প্রধান ডা. কাজী গোলাম মোখলেছুর রহমান, ম্যাজিস্ট্রেট, ৪ জন তদন্ত কর্মকর্তা।
২০১৪ সালের ১৮ নভেম্বর নিহতের কিশোরী মেয়ে এ্যামি জাহান (১৬) ও একমাত্র ছেলে মাশরাফি রাব্বানী (১২) তার মায়ের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দেন।
২০১১ সালের ১৩ আগস্ট বিমানবন্দর থানাধীন কাওলার সিভিল এভিয়েশনের স্টাফ কোয়ার্টারে নিজ বাসায় খুন হন জাহাঙ্গীর। তিনি পেশায় ড্রাইভার ছিলেন। এ ঘটনায় নিহতের খালাতো ভাই মো. আব্দুল লতিফ বিমানবন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এজাহারে কারও নাম ছিল না। তদন্তে ঘটনার সাথে স্ত্রী মুক্তা জাহান, তার পরকীয়া প্রেমিক জসিম ও জনৈক মাহবুবুর রহমানের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিমানবন্দর থানা পুলিশের এসআই আবু বকর সিদ্দিক তাদের গ্রেফতার করেন।
পরবর্তীতে ২০১৩ সালের ২৬ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৭
এমআই/এমজেএফ