বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে তাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে তুর্কি পররাষ্ট্র দফতরের বিভিন্ন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
তুরস্কের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের পাশে থাকবেন তারা।
রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে সর্ব প্রথম সারিতে বিবৃতি দিয়েছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি একে ‘গণহত্যা’ বলে সবার আগে উল্লেখ করেন। এরপর জাতিসংঘও বলেছে।
এরদোয়ান সর্ব প্রথম বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে ফোন করে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ের ব্যাপারে বাংলাদেশকে সহায়তার অঙ্গীকার করেছিলেন। তিনি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বিরাজমান পরিস্থিতি ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর চালানো নিপীড়ন ও অভিযানের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। কক্সবাজার সফরে পাঠিয়েছিলেন তার স্ত্রী ফার্স্টলেডি এমিনি এরদোয়ানকে।
রাখাইন রাজ্যে অব্যাহত গণহত্যা, গণধর্ষণের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা ছয় লাখের কাছাকাছি বলে জাতিসংঘ জানাচ্ছে। তবে বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা আরও লাখ খানেক বেশি। এছাড়া আগে থেকেই চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে থাকেন। সর্বমোট ১০ লাখ ছাড়িয়েছে।
ঘটনার শুরু গত ২৪ আগস্ট। ওই তারিখের দিনগত রাতে রাখাইনে পুলিশ ক্যাম্প ও একটি সেনা আবাসে বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এর জেরে ‘অভিযানের’ নামে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে। ফলে লাখ লাখ মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য চলে আসছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৭
আইএ