সৌদি ইন্টেরিয়রমন্ত্রী প্রিন্স আব্দুল আজিজ বিন সৌদ বিন নেইফ বিন আব্দুল আব্দুল আজিজ আল-সৌদের তত্ত্বাবধানে এবং সৌদি বর্ডার গার্ডের আয়োজনে রোববার (১৫ অক্টোবর) জেদ্দায় এ আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়াম শুরু হয়।
বিশ্বের ১৭টি দেশের স্থল ও সমুদ্র সীমান্ত নিরাপত্তা বিষয়ে অভিজ্ঞ ও শীর্ষস্থানীয় ৪৫ জন বক্তা সিম্পোজিয়ামে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
পাঁচ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ সিম্পোজিয়ামে পূর্বনির্ধারিত বিশেষ কয়েকটি আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে চতুর্থ দিন (১৮ অক্টোবর) বিষয়ের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক হিসেবে বিজিবি মহাপরিচালক তার এ বিষয়ক গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন।
বিজিবি মহাপরিচালক তার বক্তব্যে বাংলাদেশের সীমান্ত ব্যবস্থাপনার অতীত ও বর্তমান, সীমান্ত ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ, সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় পারস্পরিক সহযোগিতার সুফল এবং বাংলাদেশ সীমান্তের অধিকতর নিরাপত্তায় তার অভিজ্ঞতা ও মতামত তুলে ধরেন।
সিম্পোজিয়ামে বাংলাদেশে সম্প্রতি মিয়ানমারের রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিষয়টি তুলে ধরে রোহিঙ্গা সংকটকে ‘মানবিক বিপর্যয়' আখ্যায়িত করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এ সংকট মোকাবেলায় কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান বিজিবি মহাপরিচালক।
তিনি বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতন ও নিপীড়নের কারণেই অসহায় রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছে। বাংলাদেশ মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসহায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বিশ্বের সামনে উদারতা ও মানবিকতার ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম তাকে মাদার অব হিউম্যানিটি হিসেবে ভূষিত করেছে এবং বিশ্ব সম্প্রদায় তার ভূয়সী প্রশংসা করেছে।
সিম্পোজিয়ামে অন্যান্য দেশের বক্তারা, স্থল ও সমুদ্র সীমান্ত এবং বন্দরসমূহের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক বিভিন্ন ইস্যুতে তাদের বক্তব্য ও মতামত উপস্থাপন করেন।
বিভিন্ন দেশের সীমান্ত নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের অভিজ্ঞতা ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সীমান্ত নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো এ সিম্পোজিয়াম আয়োজন করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৭
ওএইচ/