বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দিনগত রাতে কেন্দুয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সঞ্জয় সরকার বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, মেয়েকে কোপানোর দায়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আব্দুল লতিফ থানায় মামলা দায়ের করেন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে ইমনকে নেত্রকোনার সিনিয় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। পরে বিজ্ঞ বিচারক মো. আলমগীর হোসাইন ইমনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে প্রেম সম্পর্কিত বিরোধে উপজেলার পূর্ব শান্তিনগরে মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে জান্নাতুলকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায় ইমন। জান্নাতুল কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলার পাথাইরকান্দি গ্রামের আব্দুল লতিফের মেয়ে। তিনি পারভীন সিরাজ মহিলা কলজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। পড়াশোনা করতে শান্তিনগরে হাবুল ব্যাপারীর বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন জান্নাতুল ও তার ভাগ্নি ঝুমা। এখন তিনি হামলায় আহত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে।
এদিকে কুপিয়ে পালিয়ে যাওয়া ইমনকে এদিন রাতেই সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (কেন্দুয়া সার্কেল) মো. সোহান সরকারের নেতৃত্বে মোহনগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে গ্রেফতার করে কেন্দুয়া থানা পুলিশ। ইমন কেন্দুয়ার মোজাফরপুর ইউনিয়নের গগডা গ্রামের মহর উদ্দিনের ছেলে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৭
জেডএম/