তিনি বলেছেন, মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচি বলেছেন, এখন যারা সত্যিকারের রোহিঙ্গা তাদের আমরা ফেরত নেবো। আগে তো তিনি এই ‘হ্যা’ শব্দও বলেননি।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সন্নাসীভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৌরবাতি বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা ১৯৭৮ সাল থেকে আমাদের দেশে আসছে। জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, এরশাদ সাহেব কিছু করেছেন? করেননি। কিন্তু এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিষয়টি তুলে এনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা এখন দেখছি, আস্তে আস্তে বিশ্ব জনমত আমাদের পক্ষে ঘুরছে। তবে এখনো অনেক দেশ রোহিঙ্গা ইস্যুতে মুখ খোলেনি। আশা করি, তারাও এগিয়ে আসবে। আবার অনেক রাষ্ট্র বলছে, মিয়ানমার সরকার কাজটি ঠিক করেনি।
আমাদের দেশে প্রায় আট লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। যেহেতু মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরাও একটি দেশে আশ্রয় নিয়েছিলাম। তাই যখন রোহিঙ্গারা আমাদের কাছে আশ্রয় নিতে এসেছে, তখন আমরা তাদের ফিরিয়ে দিতে পারিনি। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা কীভাবে রোহিঙ্গাদের বুকে টেনে নিয়েছেন, তা আপনারা দেখেছেন।
এসময় শেরপুরের জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার রফিকুল হাসান গণি, সেনাবাহিনীর ডিজেল প্ল্যান প্রকল্পের ব্রিগেডিয়ার মো. শামিম, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নালিতাবাড়ী সার্কেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরফদার সোহেল রহমান, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আসমত আরা আসমা, পৌর মেয়র আবু বক্কর সিদ্দিক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হকসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এসময় উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের ১৫২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুই হাজার ৫৬০ শিক্ষার্থী, ৩৭৭ জন মসজিদের ইমাম, ৩৫১ জন মোয়াজ্জেম, ২৮ জন সেবায়েত, ১৬ জন পুরোহিত এবং আটজন ধাত্রীর মধ্যে তিন হাজার ৪৪৮টি সৌরবাতি বিতরণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৭
টিএ/এসআই