বৃষ্টির পানি থেকে নিজেদের বাঁচাতে তারা অবস্থান নিয়েছিলেন বগুড়ার শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় গড়ে ওঠা সপ্তপদী মার্কেটের এক কোনায়। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে যাওয়ার পরও বৃষ্টি থামার কোনো জো নেই।
ঠিক সেই মুহূর্তে সাতমাথা হয়ে তাদের পাশ দিয়ে ব্যাটারি চালিত ভ্যানগাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন এক চালক। ভ্যানের ওপর পলিথিনের বস্তায় মোড়ানো ছিলো মালপত্র। তবে বৃষ্টির পানি থেকে অন্তত মাথাটা রক্ষা করতে পলিথিনে মাথা ঢুকিয়ে নেন ভ্যানে থাকা পণ্যের মালিক।
এভাবে প্রতিকূল আবহাওয়া মাড়িয়ে দিনভর জীবিকার সন্ধানে নানা শ্রেণী-পেশার মানুষকে ছুটতে হচ্ছে। একটু ফাঁক পেলেই কর্মজীবী মানুষগুলো গন্তব্যে ছুটতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন। কিন্তু ক’জনই নিরাপদে আশ্রয়ে যেতে পারেন। তার আগেই আবারও শুরু হয় বৃষ্টি। সেই বৃষ্টির পানিতে ভিজে তখন জুবুথুবু। কিন্তু কিছুই করার থাকে না কারো!
বগুড়া শহরের সাতমাথাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের দুর্ভোগের এমন দৃশ্য দেখা যায়। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাব সারাদেশের মতো বগুড়াতেও পড়েছে। শুক্রবার (২০ অক্টোবর) ভোর থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত। সেই থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি এখনও চলছে। সঙ্গে দমকা থেকে ঝড়ো বাতাসও জেলার কোথাও কোথাও বইতে থাকে।
তবে টানা বৃষ্টির পর শনিবার (২১ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪ টা থেকে বর্ষণ একটু দম ধরেছে। কিন্তু আকাশের অন্ধকারাচ্ছন্ন ভাব কাটেনি।
এদিকে বৃষ্টি মাথাতেই রিকশাওয়ালারা দ্রুত গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টায় ব্যস্ত। যাত্রীদের বৃষ্টির পানি থেকে রক্ষা করতে সামনে পলিথিন লাগানো হলেও শেষ রক্ষা হচ্ছে না। রিকশায় বসেও আধভেজা হয়ে যাচ্ছেন কেউ কেউ।
আবহাওয়া অধিদফতরের বগুড়া কার্যালয়ের টেলিপ্রিন্টার অপারেটর (টিপিও) শাফিউল কাফি বাংলানিউজকে জানান, বগুড়ায় শুক্রবার (২০ অক্টোবর) ভোর থেকে শনিবার (২১ অক্টোবর) বেলা ৩ টা পর্যন্ত ১৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এ সময়ের মধ্যে গড়ে প্রতি ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ছিলো ২০ কিলোমিটার। এছাড়া থেমে থেমে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৭
এমবিএইচ/এমএ