অতি বর্ষণে দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। স্কুল-কলেজেও উপস্থিতি খুবই কম।
আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, আঞ্চলিক সড়ক ও মহাসড়কগুলো পানিতে ডুবে আছে। নবীনগর চন্দ্রা মহাসড়কের আশুলিয়ার ডি-ইপিজেড থেকে বলিভদ্র পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে হাঁটুপানি। কোনো কোনো স্থানে দু’একজনকে রাস্তায় জাল দিয়ে মাছ ধরতেও দেখা গেছে।
বাইপাইল আবদুল্লাপুর মহাসড়কের ইউনিক, শিমুলতলা, বেরন, জামগড়া ও জিরাবোতেও রাস্তাজুড়ে হাঁটুপানি। যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে আঞ্চলিক সড়কগুলোতে। এছাড়া অতিবর্ষণে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানের অ্যাসফল্ট উঠে গিয়ে গর্ত ও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এসব স্থানে অটোরিকশা, রিকশা ও হাল্কা যান উল্টে আহত হচ্ছেন যাত্রীরা।
বর্ষণের কারণে পথচারীর সংখ্যা হাতেগোনা। খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। প্রয়োজনের তাগিদে যারা বের হয়েছেন তারা পড়েছেন সীমাহীন দুর্ভোগে।
সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন শিল্প-কারখানার লাখো শ্রমিক। যানবাহন না পেয়ে বৃষ্টিতে ভিজে দীর্ঘ পথ হেঁটে কারখানায় যেতে হয়েছে তাদের।
বিভিন্ন এলাকার মানুষের কণ্ঠে শোনা গেছে অভিন্ন অভিযোগ, পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকার কারণেই এতোটা ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে মানুষকে। এসব বিষয় নিয়ে বহুবার আলোচনা মতবিনিময় হলেও কাজের কাজ কিছুই করেনি সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঢাকা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান জানান, পানি নিষ্কাশনের জন্য যেসব নদী খাল রয়েছে, সেসবের অধিকাংশই দখল ও ভরাট হয়ে গেছে। এতে বেশি বৃষ্টি হলেই মহাসড়ক ও বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়।
নদী ও খাল দখলমুক্ত করার বিষয়ে আশুলিয়ায় ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার মো. লুৎফর রহমান জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সম্প্রতি আশুলিয়ার বিভিন্ন নদী ও খাল দখলমুক্ত করার জন্য জরিপকাজ চলছে। জরিপ শেষে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। সে আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৭
জেএম