শনিবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নিজ কার্যালয়ে হাফিজুরের প্রতিনিধি প্রতিবেশী মন্টু বকসির হাতে নগদ সাত হাজার টাকা তুলে দেন তিনি।
হাফিজুর লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের বসিনটারী গ্রামের ভূমিহীন রিকশা চালক রবিউল ইসলামের ছেলে এবং স্থানীয় ব্র্যাক শিশু নিকেতনের প্লে শ্রেণির ছাত্র।
৩ অক্টোবর অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলানিউজে ‘আবারও স্কুলে যেতে চায় হাফিজুর’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। নিউজটি প্রকাশের পরেই লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ অনেকেই তার পাশে দাঁড়ান। তার চিকিৎসার তত্ত্বাবধান করতেন তারই প্রতিবেশী টিভি মেকার মন্টু বকসি ও স্কুল শিক্ষক লুৎফর রহমান।
শিশু হাফিজুরের প্রতিবেশী মন্টু বকসি বাংলানিউজকে জানান, শিশু হাফিজুর বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখানে চিকিৎসকদের নিবিড় পরিচর্যায় কিছুটা সুস্থ রয়েছে। খুলে যাওয়া মাংস পুড়ে উঠতে শুরু করেছে। খুলে পড়া হাড়গুলো লাগানো হচ্ছে। তার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগ। ওষুধ সরবরাহ দিচ্ছে দু’টি ওষুধ কোম্পানি। আনুসঙ্গিক খরচ বহন করতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ সুপার, রেল কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ব্যক্তি উদ্যোগে শিশু হাফিজুরের চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শিশুটির চিকিৎসার উন্নতি ঘটেছে।
সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে সমাজের সুবিধা বঞ্চিত অবহেলিতদের খবর প্রকাশ করায় বাংলানিউজকে ধন্যবাদ জানিয়ে লালমনিরহাট পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক বলেন, মানুষ মানুষের জন্য। আমাদের সবার উচিত অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিতদের পাশে দাঁড়ানো। শিশু হাফিজুরের দ্রুত আরগ্য কামনায় সবার দোয়া কামনা করেন তিনি।
শিশু হাফিজুরের বাম পায়ের গোড়ালিতে ফোঁড়া ফেটে গিয়ে আলসার দেখা দেয়। মাত্র ২০ দিনের মধ্যে পায়ের হাড় মাংস খুলে পড়তে শুরু করে। চোখের সামনে একমাত্র ছেলের করুণ আর্তনাদে রিকশা চালক বাবা রবিউল ইসলাম রিকশা বিক্রি করেও সুস্থ করাতে পারেননি। ভিক্ষা করা যত সামান্য অর্থে ছেলেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
** আবারও স্কুলে যেতে চায় হাফিজুর
** শিশু হাফিজুরের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন স্বাস্থ্য সচিব
বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৭
আরবি/