সোমবার (২৩ অক্টোবর) উপজেলার পশ্চিম লইয়ারকুলের কুমিল্লাপাড়া এলাকার আবদুল হান্নানের মেয়ে ৮ম শ্রেণি শিক্ষার্থী নাসরিন আক্তারের সঙ্গে জানাউরা গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে মনসুর মিয়ার বিয়ের দিন ঠিক করা হয়েছিল। নাসরিন সাতগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
বিষয়টি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাজানি হলে ইউএনও কনের বাবা হান্নানকে খবর দিয়ে উপজেলায় কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। পরে ইউএনও’র নির্দেশে হান্নান মেয়ের বিয়ে বন্ধ করে দেন।
এ সময় উপজেলা কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহেদা আক্তার।
ইউএনও কাছে হান্নান অভিযোগ করেন, হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলা হাফিসজপুর গ্রামের বাবুল মিয়া তার মেয়েকে প্রতিদিন স্কুলে যাবার পথে উত্ত্যক্ত করতো এতে অতিষ্ঠ হয়ে তিনি তার মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দিচ্ছেন।
বাবুল মিয়াকে ইউএনও’র কার্যালয়ের শালিস বৈঠকে উপস্থিত করা হলে বাবুল বলেন, নাসরিন আক্তার তার স্ত্রী। গত বছর নাসরিন ৭ম শ্রেণির অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার সময় নাসরিন বাবুলের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। এখন নাসরিনের পরিবার পরিকল্পিতভাবে নাসরিনকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তাকে তিনমাস জেল খাটিয়েছেন।
এদিকে, মেয়ের বাবা হান্নানের নিকট তার হবু জামাতার নাম-ঠিকানা জানতে চাইলে তিনি তা বলেন নি।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ের (ইউএনও) মো. মোবাশশেরুল ইসলামের বাংলানিউজকে বলেন, গতকাল রাতে আমি অভিযোগ পাই ১৪ বছর বয়সী নাসরিন আক্তারের সোমবার বিয়ে। আমি রাতেই মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করি এবং ঘটনাস্থলে পাঠাই। পরে আমার নির্দেশ মেয়ের পরিবারকে জানালে মেয়ের বাবা আমার কার্যালয়ে আসেন। আমি তাকে বুঝিয়ে এ বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে বলি।
তিনি আরও বলেন, মেয়ে উপযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিবাহ দিবেন না এ মর্মে মেয়ের বাবা হান্নানের কাছ থেকে একটি মুছলেকাও নিয়েছি।
এছাড়া ওই মেয়েকে আর পথে-ঘাটে উত্ত্যক্ত করবে না বাবুল তারও একটি ভিন্ন মুছলেকা নেওয়া হবে বলেও জানান ইউএনও মো. মোবাশশেরুল।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৭
বিবিবি/আরআইএস/