সোমবার (২৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে প্রতিনিধি দল নিয়ে ঢাকা ছাড়েন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিজিবির মহাপরিচালক, কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই দলে রয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ দিন মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক শেষে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, আমরা দুই দেশ নেক্সট ডোর নেইবার। উনাদের সঙ্গে তো আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়েই চলতে হবে। রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে হলে উনাদের সঙ্গে নিয়েই আমাদের চলতে হবে। এটা হলো মূল মেসেজ।
সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তারা যদি এগ্রেসিভ আচরণ করে, আমরা এগ্রেসিভ আচরণ করে সমাধান করতে পারবো না। ডায়লগের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে, এজন্য আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয় যাচ্ছেন।
১৯৭৮ সাল থেকে বাংলাদেশে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার পাশাপাশি গত দেড় মাসে এ সংখ্যা বেড়ে হয়েছে প্রায় নয় লাখ। গত ২৫ আগস্ট দেশটিতে মুসলিম রোহিঙ্গাদের উপর নিপীড়ন শুরুর পর এ সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। একটি চুক্তির মাধ্যমে তাদের ফেরতের চেষ্টা চলছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, আমাদের কাগজপত্র বা চুক্তি অনেক দূর এগিয়েছে, উনারা যে এগ্রিমেন্ট দিয়েছেন ১৯৯২ সালের চুক্তির আলোকে, সেটা কারেকশন, রিকারেকশন- এগুলো প্রক্রিয়া হয়। উনারা কারেকশন করে আমাদের কাছে দেয়, আমাদের বক্তব্য থাকলে তাদেরকে দেওয়া হয়। এখন আদান-প্রদান চলছে। হয়তো উনার সফরের মাধ্যমে চূড়ান্ত হতে পারে। দুই পক্ষ যদি বিষয়গুলোতে একমত হয়ে যায় তাহলে হয়তো রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়া বা প্রত্যাবাসন শুরু হবে। এমওইউ হয়ে গেছে মোটামুটিভাবে, তার আলোকে আগাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৭
এমআইএইচ/জেডএম