সোমবার (২২ অক্টোবর) সিলেটে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন তিনি।
মহসীন কামরান বলেন, সিলেটের কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের তাজমহল রেস্টুরেন্টের ভাড়া উচ্চ আদালতের আদেশ বলে ইজারাদাররাই দাবিদার।
এ দু’জন পুরো বাস টার্মিনাল জিম্মি করে রেখেছেন দাবি করে মহসীন কামরান বলেন, গত ১৭ অক্টোবর তাজমহল রেস্টুরেন্টের ভাড়া আদায় করতে গেলে কালাম ও ফলিকের লোকজন হামলা করে। হামলায় আহত হন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য শাহীন। বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন। হামলার ঘটনাকে আড়াল করতে পরিবহন শ্রমিকদের কাজে লাগিয়ে ধর্মঘটের ডাক দেয় তারা।
বক্তব্যে বলা হয়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে ইজারা নেন তারা। টার্মিনালের অফিসে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি টানানো হয়। ইজারার পর বন্ধ হয়ে যায় আগের ইজারাদারের টার্মিনালের সব অবৈধ ব্যবসা। এতে গাত্রদাহ শুরু হয় কালাম ও ফলিকের। আগের ইজারাদার কালাম ও ফলিক ওই বছরের ৬টি রোডের পাওনা ৯ লাখ টাকা আত্মসাৎ করায় উকিল নোটিশ দেওয়া হয়। এমনকি সিটি করপোরেশনকে বিষয়টি অবগত করার পরও তারা সমাধান করতে পারেনি।
২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য ফের বাস টার্মিনাল ইজারা নেন আগের ফলিক। টার্মিনালকে কেন্দ্র করে তিনি আবার শুরু করেন অবৈধ মদ, জুয়া ও চাদাবাজি। এ অবস্থায় তাজমহল রেস্টুরেন্টেটি হাইকোর্টের আদেশ বলে অধিকার প্রতিষ্ঠা করি, বলেন মহসীন কামরান।
৬ জুন হাইকোর্টের ৬ মাসের আদেশ পাওয়ার পর সিটি মেয়র আপিল করেন। মামলা বিচারাধীন থাকাবস্থায় ফলিককে টার্মিনাল সমঝে দেন মেয়র।
কিন্তু এতে রেস্টুরেন্টের অধিকার ক্ষুন্ন হয়নি। সে হিসেবে গত ১৭ অক্টোবর রেস্টুরেন্টের ভাড়া আদায় করতে গেলে তাদের লোকজন হামলা করে। এমনকি ওই ঘটনায় যুবলীগ নেতাকর্মীদের জড়িয়ে চাঁদাবাজি মামলা দেওয়া হয়।
বক্তব্যে মহসীন কামরান বলেন, ওইদিনের ঘটনাটি ভিন্নখাতে নিতে ফলিক পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেন। তারা তুচ্ছ ঘটনায় বার বার পরিবহন শ্রমিকদের লেলিয়ে সিলেটের মানুষকে জিম্মি করে আসছে। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দবির আলী, যুবলীগ নেতা মাসুক আহমদ, মোসাদ্দেক হোসেন, ফরহাদ আহমদ, এসএম রাসেল, কামরান হোসেন, রাজু আহমদ, মিনহাজ আহমদ ও জয়নাল আহমদ টিপু প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৭
এনইউ/এমজেএফ