ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

অসুখ না হওয়ার জন্যও ওষুধ খেতে হয় তাও রোহিঙ্গারা জানে না

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৭
অসুখ না হওয়ার জন্যও ওষুধ খেতে হয় তাও রোহিঙ্গারা জানে না বক্তব্য রাখছেন আবু তাহের/ছবি: সোহেল সরওয়ার

কক্সবাজার: নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের বলেন, রোহিঙ্গারা জানে না অসুখ না হওয়ার জন্যও ওষুধ খেতে হয়। তারা অসুখ হলেই কেবল কিছু ওষুধ খেতে অভ্যস্ত। কারণ তাদের দেশে তারা সেরকম চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না।

দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজ আয়োজিত ‘রোহিঙ্গা সংকট, বাস্তবতা ও পরিকল্পনা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে কক্সবাজারের সায়মন বিচ রিসোর্টের সম্মেলন কক্ষে এ গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করা হয়।

বাংলানিউজের এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম ব্যুরো এডিটর তপন চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

গোলটেবিল আলোচনায় সঞ্চালনা করছেন বাংলানিউজের চট্টগ্রাম ব্যুরো এডিটর তপন চক্রবর্তী

আবু তাহের বলেন, রোহিঙ্গারা এখনও আসছে। তাদের হত্যা করা হচ্ছে, পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে- এমন তথ্য এখন পাচ্ছি না। তবে আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলে যা পাচ্ছি তা হলো- মিয়ানমার এমন পরিস্থিতি তৈরি করে রেখেছে যাতে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে চলে আসে।

তিনি বলেন, প্রায় সব রোহিঙ্গাই বাংলাদেশে চলে এসেছে, আর যারা এখনও আসতে পারেনি তারা সেখানে নিজেদের নিরাপদ ভাবছে না। তাই তারাও বাংলাদেশে চলে আসার অপেক্ষায় রয়েছে।

এই সাংবাদিক নেতা বলেন, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেবে এটা মিয়ানমারের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা। আমাদেরই কেবল এ নিয়ে কোনো পরিকল্পনা ছিল না।

তিনি রোহিঙ্গাদের শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের দ্রুত পাঠিয়ে দেওয়ার অংশ হিসেবে তাদের শরণার্থী বলা হচ্ছে না। কিন্তু তারা যদি দীর্ঘদিন থেকে যায় সেক্ষেত্রে সংকটে পড়তে পারে বাংলাদেশ। কারণ শরণার্থী বলা না হলে পরবর্তীতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা তাদের বিষয়ে মাথা না ঘামাতে পারে।

গোলটেবিল আলোচনায় উপস্থিত রয়েছেন- কক্সবাজার সদর আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাজী আব্দুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, ট্যুরিস্ট পুলিশ জিল্লুর রহমান, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মাদ আব্দুল কালাম, কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ  এ কে এম ফজলুল করিম চৌধুরী, কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের প্রমুখ।

আরও পড়ুন

ভবিষ্যতে রোহিঙ্গা সংকট সামলানো কষ্ট হয়ে যাবে
বাংলাদেশের সীমান্ত এখনই বন্ধ করতে হবে
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে
রোহিঙ্গারা যাতে সংরক্ষিত এলাকার বাইরে যেতে না পারে
ভারত-চীনকে রাজি করাতে পারলেই রোহিঙ্গাদের ফেরানো সম্ভব
রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান কূটনৈতিকভাবে করতে হবে
রোহিঙ্গারা ফেরত না গেলে দেশের জন্য হুমকি হবে
রোহিঙ্গারা এতোটা ‘ওয়েলকাম’ পাবে আশা করেনি
দেশ যে বহুমুখী সংকটে পড়েছে তা নিয়ে আরও কথা বলতে হবে

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৭
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।