ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বিএনপির সাবেক এমপি মশিউরের ১০ বছরের কারাদণ্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৭
বিএনপির সাবেক এমপি মশিউরের ১০ বছরের কারাদণ্ড বিএনপির সাবেক এমপি মশিউরের ১০ বছরের কারাদণ্ড

যশোর: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ঝিনাইদহ-২ (সদর ও হরিণাকুন্ডু) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মশিউর রহমানকে পৃথক ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

একই সঙ্গে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা ও ১০ কোটি ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৩৩০ টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে যশোরের স্পেশাল জেলা জজ নিতাই চন্দ্র সাহা এ রায় ঘোষণা করেন।



এদিকে, রায় ঘোষণার পরপরই প্রতিবাদ জানিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঝিনাইদহে হরতাল আহ্বান করেছে জেলা বিএনপি।  
 
যশোর আদালত পুলিশের পরিদর্শক রেজাউল ইসলাম বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, দুদকের আইনে তথ্য গোপনের অপরাধ ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অপরাধে পৃথক দুই ধারায় তাকে দশ বছর কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আজই তাকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হবে।
 
আদালত সূত্রে জানা যায়, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত প্রায় ১০ কোটি ৫ লাখ ৬৯ হাজার তিনশ টাকার অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার তৎকালীন সহকারী পরিচালক মোশরাফ হোসেন মৃধা মামলা করেন। ২০০৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মামলাটি তদন্ত শেষে মশিউর রহমানকে অভিযক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত যশোর জেলা কার্যালয়ের উপ পরিচালক নাসির উদ্দিন।

২০০৯ সালের শেষের দিকে ঝিনাইদহ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত মামলাটি আমলে নেন।

আমলযোগ্য মামলাটির বিরুদ্ধে উচ্চ আদালত প্রসিডিং কোয়াসমেন্টের জন্য আবেদন করনে মশিউর রহমান। এরপর ২০১০ সালে ৬ জুন উচ্চ আদালত মামলাটির পরবর্তী কার্যক্রম স্থগিত করেন। চার বছর পর ২০১৪ সালের ১৭ এপ্রিল উচ্চ আদালত আসামির মোকদ্দমা খারিজ করে স্থগিতাদেশ বাতিল করেন। একই সঙ্গে স্পেশাল জজ আদালত যশোরকে মামলার কার্যক্রম আইনানুযায়ী পরিচালনার নির্দেশ দেন। এরপর আসামি পক্ষের বিভিন্ন সময়ে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু হয়। অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট লিভ টু আপিল দাখিল করেন। পরবর্তীতে লিভ টু আপিল খারিজ হয়ে গেলে পুনরায় সুপ্রিম কোর্ট রিভিউ পিটিশন দাখিল করেন। রিভিউ পিটিশন খারিজ হলে বিচারকাজ শুরু হয়।

পুনরায় আইকর আইনের বিরুদ্ধে রিট পিটিশন দাখিল করেছেন উচ্চ আদালত। সেখানে এই মামলার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই মামলায় ১৫জন সাক্ষির মধ্যে ১২জন সাক্ষির সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। পরে গত ১৬ অক্টোবর দুই পক্ষের আইনজীবীর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ২৫ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৭
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।