ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

ঝুঁকি নিয়ে ক্যাম্পাসে আসছেন ইবি শিক্ষার্থীরা

ইবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৭
ঝুঁকি নিয়ে ক্যাম্পাসে আসছেন ইবি শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে ক্যাম্পাসে আসছেন ইবি শিক্ষার্থীরা

ইবি: জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) হাজারো শিক্ষার্থী। ক্যাম্পাসে আসার জন্য কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ শহর থেকে শিক্ষার্থীদের পাড়ি দিতে হচ্ছে ৪৬ কিলোমিটার খানাখন্দপূর্ণ রাস্তা।

বেহাল রাস্তার সঙ্গে যোগ হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিটনেসবিহীন গাড়ি। ফিটনেসবিহীন গাড়ি আর ভাঙা রাস্তা পাড়ি দিয়ে জীবন ঝুঁকিতে ক্যাম্পাসে আসছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব গাড়ি ও ভাড়ায় চালিত গাড়ির ফিটনেসহীনতার জন্য রাস্তার অচল অবস্থাকে দায়ী করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন অফিস।  

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কুষ্টিয়া শহরের দূরত্ব ২৪ কিলোমিটার এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঝিনাইদহ শহরের দূরত্ব ২২ কিলোমিটার। বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১৪ হাজার শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় সিংহভাগ শিক্ষার্থী থাকে এই দুই শহরে। শহর থেকে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের পৌঁছাতে সময় লাগে যথাক্রমে ৪৫-৪০ মিনিট।

পরিবহন অফিসের তথ্য অনুযায়ী, শহরে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের আনা নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি রুটে মোট ৪৩টি গাড়ি ব্যবহার হয়। এরমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১টি নিজস্ব বাস ও বাকি ৩২ বাস মালিক সমিতির কাছ থেকে ভাড়া করা। এরমধ্যে কুষ্টিয়ায় মোট ২৪টি, ঝিনাইদহে ১৩টি এবং শৈলকুপা রুটে দুইটি বাস বরাদ্দ আছে। তবে বিভিন্ন রুটের বরাদ্দকৃত বাসগুলো খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়কের বেহাল দশায় দিন দিন ফিটনেস হারাচ্ছে বলে অভিযোগ পরিবহন অফিসের।

সরেজমিনে দেখা যায়, কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর গেট থেকে চৌড়হাস পর্যন্ত মোট তিন কিলোমিটার রাস্তা বেহাল অবস্থা। চৌড়হাস থেকে বটতৈল পর্যন্ত রাস্তা একটু মেরামত করা হলেও আবারো পুরোনো চেহারায় ফিরে আসছে। তবে বিত্তিপাড়া থেকে ক্যাম্পাস পর্যন্ত ১০ কিলোমিটারে অসংখ্য ছোট বড় গর্ত রয়েছে।

ঝুঁকি নিয়ে ক্যাম্পাসে আসছেন ইবি শিক্ষার্থীরা

অন্যদিকে, ঝিনাইদহ রুটেরও একই অবস্থা। ক্যাম্পাস থেকে মদনডঙ্গা হয়ে চড়িয়াবিল পর্যন্ত মোট আট কিলোমিটার রাস্তা একটু বৃষ্টি হলেই পানিতে ভরে যায়। চড়িয়া বিল বাজার থেকে গাড়াগঞ্জ পর্যন্ত রাস্তা একটু ভালো হলেও গাড়াগঞ্জ থেকে চাঁদপুর মোড় পর্যন্ত চার কিলোমিটার রাস্তার অবস্থা নাজুক।

কুষ্টিয়া থেকে আগত ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হাসানুজ্জামান বিজয় বাংলানিউজকে বলেন, রাস্তার অধিকাংশ জায়গাই গর্ত। কখন দুর্ঘটনা ঘটে এই আতঙ্কে সব সময় থাকি। রাস্তার কারণে প্রতিদিনই ক্যাম্পাসে আসতে দেরি হয়। নির্দিষ্ট সময়ে ক্লাস পরীক্ষায় উপস্থিত হতে পারিনা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ রাস্তার পরিস্থিতি অত্যান্ত নাজুক। খারাপ রাস্তার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি প্রতিনিয়ত ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হায়দার বাংলানিউজকে বলেন, রাস্তা সংস্কারের কাজ চলছে। তবে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে যানবাহনের চাপ একটু বেশি থাকায় অল্পদিনেই রাস্তা খারাপ হয়ে যায়। দীর্ঘ মেয়াদী কাজের পরিকল্পনা চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৭
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।