ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

‘ফুটপাতে কোনো অবৈধ স্থাপনা নয়’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৭
‘ফুটপাতে কোনো অবৈধ স্থাপনা নয়’ রাজধানীর শেরে-ই-বাংলা নগরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল গেট সংলগ্ন ফুটপাতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ- ছবি: শোয়েব মিথুন

ঢাকা: ফুটপাতে দু’টি অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠার কারণে ডিএনসিসি’র আইডিআইপি মেগা প্রজেক্টের কাজ দীর্ঘদিন ধরে থেমে ছিলো। মূলত এই প্রজেক্টের কাজ বেগবান করতেই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এ অজিয়র রহমান উচ্ছেদ অভিযান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত রাজধানীর শেরে-ই-বাংলা নগরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল গেট সংলগ্ন ফুটপাতে অবৈধ স্থাপনা ও দোকানপাট উচ্ছেদ করে ডিএনসিসি'র ভ্রাম্যমাণ আদালত।


রাজধানীর শেরে-ই-বাংলা নগরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল গেট সংলগ্ন ফুটপাতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ- ছবি: শোয়েব মিথুনএস এম অজিয়র রহমান বলেন, আমাদের এই অভিযানটি ‘গ্রিন ঢাকা ক্লিন ঢাকা’ প্রোগ্রামের অন্তর্ভুক্ত নিয়মিত কার্যক্রমেরর অংশ। ফুটপাতে কোনো অবৈধ স্থাপনা থাকতে দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, শের-ই-বাংলা নগর এলাকার সড়কের পাশে ফুটপাত নির্মাণের জন্য ডেভেলপম্যান্টের কাজ চলমান রয়েছে। কিন্তু কিছু সুবিধাভোগী লোক এই ফুটপাত দখল করে কংক্রিট দিয়ে দু’টি দোকান ঘর তৈরি করে। এতে আমাদের এই প্রজেক্টের কাজ বাধাগ্রস্থ হচ্ছিলো। তাই ডিএনসিসি'র উন্নয়নমূলক কাজকে তরান্নিত করতে ফুটপাতের ওপর গড়ে ওঠা দু’টি স্থাপনা (দোকান) ভেঙে ফেলা হয়েছে।

মেয়র আনিসুল হক দায়িত্বে আসার পর নগরীতে একটা রেডিক্যাল চেঞ্জ (বৈপ্লবিক পরিবর্তন) হয়েছে জানিয়ে অজিয়র রহমান বলেন, এই ধারা অনুযায়ী আমরা কাজ করতে পারলে দ্রুতই ‘গ্রিন ঢাকা ক্লিন ঢাকা’ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।  

ফুটপাত জনমানুষের ব্যবহারের জন্য (নির্বিগ্ন চলাচল)। এর ওপর কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা সম্পূর্ণ অবৈধ। আর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

ডিএনসিসি আইডিআইপি মেগা প্রজেক্টের সম্পর্কে নির্বাহী প্রকৌশলী (অঞ্চল-৫) মো. শরীফ হোসেন বলেন, এ ফুটপাতটি সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক মানসম্পন্নভাবে তৈরি করা হবে। সড়কের পাশে পথচারীদের চলাচলের জন্য থাকবে প্রশস্ত ফুটপাত। এ ফুটপাতে দুই ধরনের টাইলস বসানো হবে। সম্পূর্ণ লাল রংয়ের টাইলসের একপাশে থাকবে হলুদ রংয়ের স্ট্রেট লাইন টাইলস।

এ বিশেষ টাইলসের সহায়তায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা চলাচল করতে পারবে। টাইলসের ডিজাইন থাকবে স্ট্রেট লাইন। যেখানে সামনে গিয়ে ডানে/বামে মোড় বা ঢালু নির্দেশ করতে গোল গুটি-গুটি নকশার টাইলস বসানো হবে। এতে খুব সহজেই দৃষ্ট প্রতিবন্ধীরা ফুটপাথ দিয়ে চালাচল করতে পারবে।

সড়কের পাশে ফুটপাতগুলো আর্ন্তজাতিক মান মেনেই তৈরি করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে সরেজমিনে দেখা যায়, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং সোহরাওয়ার্দীর মাঝের রাস্তার ফুটপাতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ফুটপাতগুলো সড়িয়ে নিচ্ছে দোকানিরা। উচ্ছেদ অভিযানের খবর শুনে সকাল সাড়ে ১০টা থেকেই হাসপাতাল সংলগ্ন ফুটপাতে থাকা দোকানপাট খুলে সরানোর কাজ করছে তারা।

আল-আমিন নামে এক দোকানি বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাদের প্রায় সময় এমন দৌঁড়ের ওপর ধাকতে হয়। গত রোজার সময় একবার উচ্ছেদ করেছিলো। এরপর আজ (বৃহস্পতিবার) উচ্ছেদের জন্য ডিএনসিসি’র লোক আসছে। কি করবো সরকারি জায়গা দোকান সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।

স্থানীয়রা জানায়, সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। উচ্ছেদ শেষে তারা চলে গেলে আবার ফুটপাত দখল করে ব্যবসা শুরু করে দেয় এসব ব্যবসায়ীরা।  

** ডিএনসিসি’র উচ্ছেদ অভিযান চলছে

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৭
এসজেএ/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।