সম্প্রতি বৃষ্টিপাতের পর উত্তরে চলে এসেছে শীতের আবহ। দিন গড়িয়ে রাত পেরুনোর পর ক্রমেই বাড়ছে কুয়াশা।
কুয়াশার বুক চিরে ভোরের সূর্যোদয়। বিকেলের নীল আকাশের ক্যানভাসে খেলা করছে থোকা থোকা সাদা মেঘের ভেলা। মিষ্টি রোদের খেলা চলে সকালটায়। সন্ধ্যা গড়িয়ে মধ্যরাত নামার আগেই কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে চারপাশটা।
সূর্য অস্ত যাওয়ার পরপরই চালকরা সাবধান হয়ে যান। রাত নামতেই চালকরা চলন্ত যানের হেডলাইট জ্বালিয়ে দেন। মহাসড়কের জনমানবহীন স্পটগুলোয় কুয়াশার দাপট অনেক বেশি।
এসব স্পটে দু’পাশ থেকে মাঝে মাঝেই কুয়াশা যেন চেপে বসে। তখন যেন সবকিছু দৃষ্টিসীমার বাইরে চলে যাওয়ার মত অবস্থা হয়। দুর্ঘটনা এড়াতে চালক যানের গতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাধ্য হন।
হাবিবুল্লাহ, আজগর আলী, বাদশা মিয়া, আব্দুস সাকুরসহ একাধিক যানবাহন চালক বাংলানিউজকে এমনটাই জানান।
তারা বলেন, দিন যত যাচ্ছে কুয়াশার দাপট ততই বাড়ছে। সন্ধ্যার পর সড়ক-মহাসড়ক ধরে উত্তরের জেলা শহরগুলোতে যেতে বেশ সমস্যা হচ্ছে। ফাঁকা স্থানগুলোয় কুয়াশার দাপটে গাড়ি টানাই যায় না। চারদিক থেকে কুয়াশা চেপে আসায় যেন কিছুই চোখে পড়তে চায় না। তখন গাড়ি থামিয়ে গ্লাসে পানি মারতে হয়।
সম্প্রতি হয়ে যাওয়া বৃষ্টিপাতের পর থেকেই হিমালয় পাদদেশীয় উত্তরাঞ্চল জুড়ে শীত নামতে শুরু করেছে। সময় গড়িয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। এর প্রভাব পড়ছে উত্তরাঞ্চলের জেলা শহর বগুড়ায়।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, উত্তরের ঠাণ্ডা বায়ু প্রবাহ শুরু হয়েছে। ফলে দিন ছাড়া রাতের একটি নির্দিষ্ট সময় থেকে বইতে শুরু করছে অনেকটা হিমেল হাওয়া। সন্ধ্যার পর থেকে রাত বাড়ার সঙ্গে শীত অনুভূত হওয়া শুরু করেছে। কুয়াশাও বাড়ছে। মধ্যরাত থেকে শুরু করে রাতের শেষ ভাগ পর্যন্ত শীত অনুভূত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বগুড়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যবেক্ষক সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া বাংলানিউজকে জানান, দিন যতই যাচ্ছে, তাপমাত্রা কমছে। প্রত্যহ সন্ধ্যার পর থেকেই হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করছে। সঙ্গে কুয়াশার মাত্রাও বাড়ছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৭
এমবিএইচ/জেডএম