বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে দ্বিতীয় রেলসেতু এলাকায় পরির্দশন দল পৌঁছে ফাটল হওয়া পিলারগুলো সরেজমিনে ঘুরে দেখেন।
এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হাই বলেন, আসলে সব ধরনের নির্মাণ কাজেই কংক্রিটের উপরে সারফেস ক্রেক বা ফাটল দেখা দেয়।
তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে যেন কোনো বার্জ বা ভলগেট জাহাজ পিলারের সঙ্গে ধাক্কা না লাগে সেজন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি পিলারে আলোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এসময় পরিদর্শন দলে প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হাই ছাড়াও ভৈরব রেলসেতু প্রকল্পের কনসালট্যান্ট বিভাগের প্রধান নারায়ণ, সহকারী প্রকৌশলী দ্রুব জ্যোতি ভট্টাচার্জ, প্রশান্ত, সিরাজ ও আব্দুল হাবিব উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মেঘনা নদীর উপর নির্মণাধীন সেতুর ৮, ৯ ও ১০ নম্বর পিলারের বেইজ পিলারের সাপোর্টিং ওয়ালে ফাটল দেখা গেছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটির নির্মাণ কাজ ২০১৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর শুরু করে ভারতের ইরকন ও এফকন জেভি নামে দু’টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে সেতুটি। সেতুর ১২টি পিলারের মধ্যে ৮টি মেঘনা নদীতে পড়েছে। ভৈরব ও আশুগঞ্জ প্রান্তে আছে আরও ৪টি। রং করা থেকে শুরু করে ছোটখাটো সব কাজ প্রায় শেষ। স্লিপার, রেললাইন নির্মাণ ও পাথর বসানোর কাজ অনেক আগেই করা হয়েছে। এ সেতুর সঙ্গে ভৈরব ও আশুগঞ্জ প্রান্তের ৬টি ছোট সেতুও নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি পেলেই উদ্বোধনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৭
আরবি/