ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

কী হতে পারে এসপি সুভাষ ও তার সম্পদের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৭
কী হতে পারে এসপি সুভাষ ও তার সম্পদের

ঢাকা: আয়কর নথিতে ১৯টি এফডিআর-এ ৮ কোটি ৩৬ লাখ ১৩ হাজার ৩৬৭ টাকা না দেখানোয় ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) সুভাষ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী রীনা চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল ওয়াদুদ মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাজধানীর বংশাল থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ বিভাগে চাকরিকালীন বিভিন্ন দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সুভাষ এই ৮ কোটি ৩৬ লাখ ১৩ হাজার ৩৬৭ টাকার অর্জন করেছেন মর্মে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

মানিলন্ডারিং আইনের ২ (ফ)(উ) ধারানুসারে, সম্পৃক্ত অপরাধ সংঘটনে প্ররোচিত করা বা সহায়তা করিবার অভিপ্রায়ে কোনো বৈধ বা অবৈধ সম্পত্তির রূপান্তর বা স্থানান্তর বা হস্তান্তর করা; (ঊ) সম্পৃক্ত অপরাধ হইতে অর্জিত জানা সত্ত্বেও এই ধরনের সম্পত্তি গ্রহণ, দখলে নেওয়া বা ভোগ করাও মানিলন্ডারিংয়ের অন্তর্গত।

এ মামলায় কী হতে পারে ফরিদপুরের এসপি সুভাষের। জনমনে উদয় হওয়া এমন প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে দুর্নীতি দমন কমিশনের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল বাংলানিউজকে বলেন, দুদক যদি তার মামলা প্রমাণ করতে পারে তবে এ আইনের বিধান অনুসারে তার সাজা হবে। আর যদি আসামি উক্ত অর্থের বৈধ উৎস দেখাতে পারেন তবে খালাস পাবেন।

তিনি বলেন, সাজার ক্ষেত্রে মানিলন্ডারিং আইনের ৪(২) ধারানুসারে সর্বোচ্চ ১২ বছর কিংবা সর্বনিম্ন ৪ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির দ্বিগুণ মূল্যের সমপরিমাণ বা দশ লাখ টাকা পর্যন্ত, যা অধিক, অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

আইন বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বারের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজী বাংলানিউজকে বলেন, আইনের ৪(৩) ধারানুসারে, দণ্ডিত ব্যক্তির সম্পত্তি যা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মানিলন্ডারিং কিংবা কোন সম্পৃক্ত অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত তা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দিতে পারেন আদালত।

আদালতে দুদকের মামলা প্রমাণিত হলে কারাদণ্ডের পাশাপাশি সুভাষ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী রীনা চৌধুরী ১৯টি এফডিআর-এ গচ্ছিত টাকা হারাবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৭ 
এমআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।