টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার নবগ্রাম উত্তরপাড়ার শাজাহান শেখের মেয়ে সাথী তখন ৫ম শ্রেণির ছাত্রী। একদিন রাতে তার মা বাসায় না থাকায় বাবা আদর করে দুধ ও কলা খাওয়ান।
অভাব অনটনের মধ্যেই সাথীকে গ্রামের অশিক্ষিত কবিরাজ দিয়ে ভূতে ধরার চিকিৎসা করান তার নানা। কবিরাজ ভূত তাড়ানোর নামে অসহায় সাথীর ওপর চালায় নির্মম অত্যাচার। অপচিকিৎসায় পুরোপুরি অন্ধ হয়ে যায় সাথী। কিছুদিন পর তার নানা-নানী মারা গেলে উপার্জনক্ষম কেউ না থাকায় নির্মম অবস্থায় পড়ে অন্ধ মেয়েটি। এরপর থেকে বৃদ্ধা দাদীর কাছে থেকে মানুষের সামান্য সহায়তায় চলছিলো সে। বর্তমানে গোপালপুর উপজেলার চর চতিলা গ্রামের রুবেল আহমেদের আশ্রয়ে রয়েছে অসহায় মেয়েটি।
সাভারের জামগড়া এলাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন সাথীর মা। সময়-সুযোগ পেলে দ্বিতীয় স্বামীর ঘরে মাঝে মধ্যে সাথীকে নিয়ে রাখার চেষ্টাও করেন তিনি।
সাথীর বর্তমান আশ্রয়দাতা রুবেল আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, সাথীর কষ্টের ইতিহাস জানার পর আমার বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছি। ইতিমধ্যে তার চিকিৎসার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সাথীর খোঁজ নিয়ে প্রতিবন্ধী তালিকায় নিবন্ধন করে নিয়ে গিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গোপালপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোস্তফা হোসাইন বাংলানিউজকে বলেন, আগে ভুলবশত তার নাম বাদ পড়ে যায়, পরে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খোঁজ পেয়ে সাথীর নাম নিবন্ধন করে নিয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৭
ডিআর/এমজেএফ