ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

রোগীর স্বজনদের মারধরের ঘটনা তদন্তে শজিমেকের কমিটি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৭
রোগীর স্বজনদের মারধরের ঘটনা তদন্তে শজিমেকের কমিটি ছবি: আরিফ জাহান/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বগুড়া: বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে রোগীর স্বজনদের মারধরের পর সেখান থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় বলে বাংলানিউজকে শজিমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক নিমর্লেন্দু চৌধুরী জানিয়েছেন।  

তিনি জানান, ইন্টার্ন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক কামরুল আহসানকে।  

‘আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’
 
এদিকে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে হাসপাতাল এলাকায় কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। হাসপাতালে ভেতরে প্রবেশের আগে তথ্য কেন্দ্র থেকে দেওয়া হচ্ছে ‘পাস’।  

অন্যান্য সময় রোগীর সেবা থেকে নিজেদের ‘আরাম-আয়েশ’কে প্রাধান্য দিলেও শনিবার শজিমেকের জরুরি বিভাগে দায়িত্বপ্রাপ্তদের অবস্থা ছিল খুবই কর্মব্যস্ত।  

বাংলানিউজের ক্যামেরা দেখে রোগী ও স্বজনদের সেবা দিতে আরও সতর্ক হয়ে ওঠেন হাসপাতালের কর্মীরা।
 
এর আগে গত ২৬ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) রাতে হাসপাতালে ভর্তি জয়পুরহাটের মাহেলা বেওয়াকে (৭৫) দেখতে যান তার ছেলে গাজিউর রহমান ও নাতি রোম্মান হোসেন শান্ত।  

এ সময় খারাপ আচরণের অভিযোগ তুলে হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তাদের বেধড়ক মারধর করেন।  

এরপর চিকিৎসা হবে না জানিয়ে গভীর রাতেই তাদের জয়পুরহাটে পাঠিয়ে দেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। সেখানে গিয়ে সদর হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হন আহতরা।  

এর পরদিন অর্থাৎ শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে অসুস্থ মাহেলাকেও হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। কিন্তু পথিমধ্যে মারা যান তিনি।
 
আর ওই ঘটনার পরপরই সতর্ক অবস্থা নেন চিকিৎসক নেতারা। দফায় দফায় বৈঠক করে নানা দিক-নির্দেশনাও জারি করেন তারা। তবে এ বিষয়ে নাম প্রকাশ করে কেউ মুখ খুলতে চাননি।  
 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বশীল একজন বাংলানিউজকে জানান, শুক্রবার রাতে শজিমেকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও চিকিৎসক নেতারা বৈঠক করেন।  
 
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মর্যাদানুসারে সবাইকে নির্ধারিত পোশাক পড়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সঙ্গে  রাখতে হবে পরিচয়পত্রও।  

যে কোনো প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে জেলা বিএমএ-এর সভাপতি ও বিভাগীয় প্রধানের মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে প্রতি ওয়ার্ডে। সর্বোচ্চ দু’জন রোগীর স্বজন থাকতে পারবেন।
 
দায়িত্বরত এক আনসার সদস্য বাংলানিউজকে জানান, রোগী ও তাদের স্বজন ছাড়া কাউকে ওয়ার্ডে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। হাসপাতালের সব প্রবেশ পথে আনসার সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন।  

শজিমেক উপ-পরিচালক নিমর্লেন্দু চৌধুরী বলেন, যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৭
এমবিএইচ/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।