নিহত রাফিক শ্রীপুর উপজেলার সিংগারদিঘী এলাকার বাসিন্দা অটোরিকশা চালক আল-আমিনের ছেলে।
নিহতের বাবা আল-আমিন অভিযোগ করে জানান, গত ৫-৭ দিন আগে তার সন্তান রাফিকের পিঠের ডান পাশ ফুলে উঠে।
এরপর বেলা ১১টার দিকে শিশুটির অপারেশন করেন ফার্মেসির মালিক। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলে শিশুটিকে মাওনা চৌরাস্তায় আল-হেরা হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে আবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানেও শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে ঢাকা শিশু হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসক। পরে ঢাকা নেওয়ার পথে গাজীপুরে পৌঁছালে সন্ধ্যায় শিশুটি মারা যায়।
এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল হাসান জানান, খবর পেয়ে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে শনিবার (২৮ অক্টোবর) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় শ্রীপুর থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন।
তিনি আরো জানান, যিনি শিশুটির অপারেশন করেছেন তিনি ওষুধ বিক্রেতা ছিলেন। তার ফার্মেসিতেই তিনি এ অপারেশনটি করেন। ঘটনার পর থেকে ফার্মেসির মালিক আলম মিয়া পলাতক।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৭
আরএস/জেডএস