প্রতিপক্ষের দেওয়া প্রাণনাশের হুমকিতে বর্তমানে পুকুরে গিয়ে নিজের চাষ করা ৫০ লাখ টাকার মাছ মারতে পারছেন না ভুক্তভোগী চাষি।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে দুর্গাপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম নামের ওই মাছ চাষি এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সহায়-সম্বল বিক্রি করে তিনি মাছ চাষ শুরু করেন। উপজেলার আড়াইল গ্রামের আবদুস সামাদ ও আশরাফুলসহ মোট ৩১ জন অধিবাসীর মালিকানায় একটি ডোবা ছিল। মোট পাঁচ একর ১৮ শতক জমির ওপর ওই ডোবা তিনি লিজ নেন। পরে পুকুর খনন করে ১৫ ফেব্রুয়ারি তাতে মাছ ছাড়েন।
এরপর থেকে আড়াইল গ্রামের প্রভাবশালী আইয়ুব আলী ও কালামসহ আরও দুইজন তার কাছে ৫ লাখ টাকা অথবা পুকুরের ৪০ শতাংশ অংশীদারিত্ব দাবি করেন। কিন্তু তাদের কোনো প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় জাহাঙ্গীরকে প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি দেন তারা। একপর্যায়ে গত ২৫ আষাঢ় তারা জাহাঙ্গীরের লিজ নেওয়া পুকুর থেকে জোরপূর্বক প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ লুট করে নেন। নিরুপায় হয়ে দুর্গাপুর থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর আলম আরো বলেন, তিনি গত ১৯ অক্টোবর রাজশাহীর সিনিয়র জুডিশিয়াল আমলি আদালতে মামলা করেন। আদালত ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। কিন্তু সেই পরোয়ানা থানায় গেলেও পুলিশ আসামিদের ধরছেনা। উল্টো থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা প্রভাবশালীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিচ্ছে। এ অবস্থায় গ্রামের বাড়িতে তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান জাহাঙ্গীর আলম।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৭
এসএস/জেডএস