শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে জেলার ডুমুরিয়া উপজেলা থেকে মহানগরীর লবণচরা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
রাতে খুলনা থানায় আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আব্দুল্লাহ আরেফ জানান, ঘটনার পর থেকেই পুলিশের কয়েকটি গ্রুপ শুভকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলো।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। স্বল্পতম সময়ের মধ্যে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করা সম্ভব হবে বলে জানান ডিসি আব্দুল্লাহ আরেফ।
তিনি জানান, আসামিদের রোববার (২৯ অক্টোবর) আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। রিমান্ডে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের নাম বেরিয়ে আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান, লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
বখাটে শামীম হাওলাদার শুভ ও তার সহযোগীদের ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে মেধাবী ছাত্রী শামসুন নাহার চাঁদনী ১৩ অক্টোবর রাতে নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। সে খুলনা সরকারি করোনেশন বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণিতে পড়াশোনা করতো। সে নগরীর লবণচরা থানার হরিণটানা গ্রামের হরিণটানা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট রবিউল ইসলামের মেয়ে।
স্কুলছাত্রী চাঁদনীর আত্মহননের প্ররোচনার অভিযোগে ১৪ অক্টোবর তার বাবা রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে লবণচরা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় বখাটে শামীম হাওলাদার শুভ, তার বাবা শাহ আলম হাওলাদার, মা জাকিয়া বেগম, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী মাফিয়া কবির ও বন্ধু হাসিবসহ অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামি করা হয়। ওই দিনই পুলিশ শুভর সহযোগী মাফিয়া কবিরকে গ্রেফতার করে।
বাংলাদেশ সময়: ০১২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৭
এমআরএম/জিপি