বর্তমানে টাকার অভাবে চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে রাজুর। পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, তার চিকিৎসার জন্য এখনো প্রায় ২ লাখ টাকা প্রয়োজন।
বুলেট উপজেলার বাবুরহাট পোস্টঅফিস মোড় এলাকার সফিয়ার রহমান ভোলার ছেলে। তিন ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে দ্বিতীয় সে। সে ডিমলা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। তার বাবা সফিয়ার রহমান ভোলা ডিমলা বাবুরহাট বাজারে কুলির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
তার বাবা সফিয়ার রহমানের সাথে কথা বলে জানা যায়, ৫ মাস আগে মাঠে ফুটবল খেলা শেষে করে পুকুরে লাফ দিয়ে গোসল করার সময় ঘাড়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে শিরা (ভেন) ছিড়ে যায় বুলেটের। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ঘাড়ের অপারেশন করার পর অনেকটা সুস্থ হয়ে ওঠে বুলেট। এর কিছুদিন যেতে না যেতেই মেডিসিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ফলে রাজুর শরীরে পচন শুরু হয়। এরপর টাকার অভাবে তাকে আর ডাক্তার দেখানো হয়নি। বর্তমানে সে বাড়িতেই অবস্থান করছে। এখন তার প্রসাবের রাস্তা দিয়ে পুঁজ বের হয়। এছাড়া দুই উরুর কাছে পচন শুরু হয়েছে।
এদিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার এ.কে.এম. কামরুজ্জামান বলেছেন, তাকে বাঁচাতে অনেক টাকা প্রয়োজন।
এই প্রতিবেদকের সাথে বুলেটের খালুর কথা হলে তিনি জানান, আমরা স্থানীয় এমপি আফতাব উদ্দিন সরকারের সাথে কথা বলেছি। এখন স্থানীয় যুবকদের সহায়তায় আপাতত সোমবার ঢাকায় বুলেটকে নিয়ে যাবো। এরপর দেখি কি হয়।
বুলেটের বাবা সফিয়ার রহমান বলেন, চিকিৎসকরা বুলেটকে দ্রুত দেশের বাইরে নেওয়ার জন্য বলেছেন। তারা বলেছেন দুই লাখ টাকা খরচ হবে। কিন্তু আমার তো সংসারই চলে না। ছেলের চিকিৎসা কীভাবে করব।
ছেলেকে বাঁচাতে সবার কাছে সহায়তা কামনা করেছে তার পরিবার। বুলেটকে কেউ সহযোগিতা করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন তার বাবার ০১৭৪০৪৮৭৯২৫ নম্বরে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৭
ডিআর/জেডএম