ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

‘বিকৃত তথ্য অপসারণে সময় নষ্ট’ 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৭
‘বিকৃত তথ্য অপসারণে সময় নষ্ট’  'বঙ্গবন্ধু মেধাবৃত্তি পুরস্কার বিতরণী' অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী- ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: পাঠ্যপুস্তকের মাঝে ঢুকে যাওয়া বিকৃত তথ্য অপসারণ করতে সরকারের অনেক সময় নষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ফাউন্ডেশন আয়োজিত 'বঙ্গবন্ধু মেধাবৃত্তি পুরস্কার বিতরণী' অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।

আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, আমাদের দেশে পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের জন্য শতভাগ পড়ার উপযুক্ত নয়।

মাঝে মধ্যে কিছু কিছু বিকৃত তথ্য ঢুকে যায়। পরে এইগুলো খুঁজে খুঁজে বের করে বাদ দিতে হয়ে। কিছুদিন আগেও পাঠ্যপুস্তকে একটি বিকৃত তথ্য চলে আসে। পরে তা খুঁজে বের করা হয়। পাঠ্যপুস্তকের বিবৃত তথ্য অপসারণ করতে সরকারে অনেক সময় নষ্ট হয়।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ১৮৭০ সালের আগে বিশ্বে শিক্ষাব্যবস্থা সবার জন্য তেমন একটা সার্বজনীন ছিল না। আমাদের এই উপমহাদেশ প্রথম ১৯৩০ সালে শ্রীলংকায় শিক্ষা সার্বজনীন হয়। ভারতে এখনো শিক্ষাব্যবস্থা সার্বজনীন হয়নি। বাংলাদেশে ১৯৯০ সাল থেকে শিক্ষাব্যবস্থা সার্বজনীন হলেও এর মূল কাজ শুরু হয় ১৯৯৬ সাল থেকে। বাংলাদেশে শিক্ষাকে সার্বজনীন করতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনেক অবদান রয়েছে।

বর্তমান সরকারের আমলে শিক্ষার প্রতি সু-নজর দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন,  প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় ৯৯ শতাংশ শিশু শিক্ষাগ্রহণ করে। ১ শতাংশ আমি বাদ দিয়েছি। এর প্রধান কারণ হল অনেক শিশু প্রতিবন্ধী থাকায় এবং কিছু মা বাবা আছে এখনো কিছু শিশুদের স্কুলে যেতে দেয় না। তবে সব মিলে বলা যায় দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ভালো অবস্থানে রয়েছে এবং অগ্রসর হচ্ছে। উপমহাদেশের মধ্যে শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আমরা একটি সম্মানজনক স্থানে রয়েছি।

তিনি আরো বলেন, শিক্ষাব্যবস্থাকে আরো এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী চেয়েছিলেন ১ম শ্রেণি থেকে স্নাতক পর্যন্ত বিনামূল্যে শিক্ষাব্যবস্থা চালু করতে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে আমি বাধা দেই অর্থ সংকটের জন্য। এখন আমরা মাধ্যমিক পর্যন্ত বিনামূল্যে শিক্ষাব্যবস্থা চালু করেছি। তবে উচ্চমাধ্যমিক থেকে স্নাতক পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে বৃত্তি প্রধানের ব্যবস্থা করা হয়েছে সরকারি ও বেসরকারিভাবে।

এ সময় মেধাবৃত্তি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন স্কুলের ১ম শ্রেণি থেকে ৮ম শ্রেণির ৪৪৩ জন শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১ম শ্রেণি থেকে ৮ম শ্রেণির প্রথম স্থান অধিকারী ৮ জন শিক্ষার্থীকে ৮টি ডেস্কটপ কম্পিউটার দেওয়া। এছাড়া দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী শিক্ষার্থীসহ এপ্লাস ও সাধারণ গ্রেডে যারা বৃত্তি পেয়েছে তাদের ক্রেস্ট এবং প্রাইজবন্ড পুরস্কার দেওয়া হয়।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সীমান্ত তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন-  আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের নির্বাহী পরিচালক (বিপণন) আসিফ ইকবাল, আয়োজক সংগঠনের প্রধান নির্বাহী সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা  অক্টোবর ৩০,২০১৭
এমএসি/বিএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।