ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বৃষ্টি বাড়ালো শীতের অনুভূতি

বেলাল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৭
বৃষ্টি বাড়ালো শীতের অনুভূতি ছবি: আরিফ জাহান / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বগুড়া: সবে সন্ধ্যে নামতে শুরু করেছে। আলোয় ঘেরা পরিবেশ ছাড়া শহরের অন্যান্য এলাকায় ক্রমেই নেমে আসছে অন্ধকার। আকাশটা কালো মেঘে ঢেকে এলেও সহজে মানুষের দৃষ্টিসীমায় যেন নেই। এরপরও আকাশের বুকে কোথাও কোথাও তারকারাজি আনাগোনা ছিল! 

বগুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় তখন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ আড্ডায় মত্ত। ভাজিপুরি, ফল ব্যবসায়ী, চটপটি, ফুসকা, কাবাব, চা-স্টলগুলো ঘিরে ছিলো এসব মানুষের আড্ডা।

 

এরমধ্যে আবার সাতমাথার বেশ কয়েকটি সড়কের পাশে শীতের পোশাক বিক্রি করতে পসরা সাজিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ দোকানিরা। কিন্তু আড্ডা কিংবা শীত আসার আগেই কাপড় নিয়ে বসা দোকানিদের ব্যবসা বেশি দূর এগোতে দেয়নি বৃষ্টি।  

রোববার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যার কিছুটা পরই আকাশটা যেন ফুটো হয়ে অঝোরে বৃষ্টি শুরু হয়। সঙ্গে বইতে থাকে হালকা থেকে মাঝারি ঝড়ো হাওয়া। পলিথিনে মুড়িয়ে শীতের পোশাক বিক্রির ভ্রাম্যমাণ দোকানিরা নিরাপদে চলে যান।
 
অনেকেই বাড়ি ফেরেন বৃষ্টি মাথায় নিয়ে। জবুথবু হয়ে পড়েন ভ্রাম্যমাণ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও। আবার অনেক মানুষই আশেপাশে আশ্রয় নিয়ে বৃষ্টি থেকে রক্ষার চেষ্টা করেন। প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার মতো চলে বৃষ্টিপাত। পাশাপাশি হালকা থেকে ঝড়ো হাওয়া শীতের অনুভূতি অনেকটা বাড়িয়ে দেয়।
 
ছবি: আরিফ জাহান / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমবৃষ্টি থামার পর ঘড়ির কাটা রাত সাড়ে ৮ টায় গড়িয়েছে। বাতাসে শীতের অনুভূতিও অনেকটা বেড়েছে। মাত্র কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিপাতের পর সেই আড্ডাবাজ শহর ফাঁকা হয়ে যায়। ছিন্নমূল মানুষগুলো আস্তে আস্তে নিজ নিজ গন্তব্যে ছুটে যান। তবে কষ্ট বাড়ে ছিন্নমূলের শিশু ও বয়স্ক মানুষদের।  
 
জানা যায়, বৃষ্টিতে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের শাজাহানপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কমপক্ষে তিনটি স্থানে গাছ ও ডালপালা ভেঙে পড়েছে। দশমাইল এলাকায় পুরো গাছ ভেঙে পড়ায় মহাসড়ক দিয়ে কিছু সময় যান চলাচল বন্ধ থাকে।  

বগুড়া থেকে শেরপুর বৈদ্যুতিক সাব স্টেশনের ৩৩ কেবি সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে শাজাহানপুর, শেরপুর, বগুড়া শহরের বেশ কিছু এলাকা প্রায় দুই থেকে তিন ঘণ্টার মতো বিদ্যুৎ বিহীন হয়ে পড়ে।
 
ফেরদৌস ও রেজাউল করিম; দু’জনেই পেশায় ফল ব্যবসায়ী। শহরের সাতমাথার সাতপাকে যখন যেখানে সুযোগ পান সেখানেই বসে পড়েন ফলের ঝুড়ি নিয়ে।  

বিকেল থেকে রাত ১০ টা অবধি ব্যবসা করেন তাদের মতো আরও অনেকে। তবে চা-স্টলের ব্যবসা চলে গভীর রাত নাগাদ। কিন্তু বৃষ্টির কারণে রোববার তেমন একটা ব্যবসা হয়নি কারও।  

বৃষ্টি ভেজার সঙ্গে নতুন করে যোগ হয়েছে শীতের আগমনী বার্তাও। ওইদিন সন্ধ্যায় বৃষ্টির কারণে বেশ শীত অনুভূত হচ্ছিল বলে জানালেন দোকানি-পথচারীরা।
 
বাংলানিউজকে তারা জানান, বৃষ্টি হওয়ায় গেল দিনের চেয়ে বেশ শীত অনুভূত হচ্ছে। হালকা কাপড় পড়ে থাকাটা মুশকিল হয়ে পড়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৬১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৭
এমবিএইচ/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।