ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

খাগড়াছড়িতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ৭

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৭
খাগড়াছড়িতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ৭

খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ির জেলা শহরের শাপলা চত্বর এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পৌর মেয়র সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশসহ উভয় পক্ষের ৭ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। 

আহতদের দুইজনকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন- রুবেল (২৯) ও ম্রাসাউ মারমা (৩৫)।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে।
 
জানা যায়, গত সোমবার সন্ধ্যায় পৌর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক বেলাল হোসেনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনায় পৌর মেয়র রফিকুল আলমকে দায়ী করা হয়। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় শহরের কদমতলী এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
 
এদিকে মিছিলটি প্রতিহত করতে মেয়র রফিকুল আলম সমর্থকরা মিছিল বের করে। পরে মিছিল দুটি মাষ্টার পাড়া মোড়ে আসলে উভয় পক্ষ ধাওয়া-পাল্টা ও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ঘটনায় পুলিশ, পথচারী শিশুসহ ৭ জন আহত হন। এসময় শহরে আতংক ছড়িয়ে। দোকানপাট বন্ধ করে নিরাপদে সরে যান।
 
পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাবেদ হোসেন জানান, আমরা শ্রমিক লীগ নেতা বেলালের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করি। মিছিলটি মাষ্টারপাড়া মোড়ে আসলে পৌর মেয়র রফিকুল আলম ও তার ছোট ভাই দিদারুল আলমের নেতৃত্বে লাঠিসোঠা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। এসময় মেয়র সমর্থকরা আমাদেরকে লক্ষ করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে।  

এদিকে বেলালের ওপর হামলা এবং সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে পৌর মেয়রের সমর্থকরা।
 
খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম এম সালাউদ্দিন জানান, পুলিশ তাৎক্ষণিক কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে বলেও জানান তিনি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৭/আপডেট ১৭৩৩
বিএস   
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।