মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) দুপুর থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অভিযানে অন্তত ২৫টি বোমা মেশিন আগুন দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সৈয়দ আমিনুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ, গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার পাল,পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মুহম্মদ হাফিজুর রহমান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিজন কুমার সিংহ, সহকারী পুলিশ সুপার (গোয়াইনঘাট) সার্কেল মতিয়ার রহমান ও বিজিবি ৪৮ ব্যাটালিয়নের নায়েব সুবেদার খালেদুর রহমান।
সিলেটের গোয়াইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার পাল বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এখন থেকে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।
তবে হাজারখানেক বোমা মেশিন থাকার পরও ২৫টি ধ্বংসের বিষয়ে তিনি বলেন, সময়ের অভাবে বেশি মেশিন পোড়ানো যায়নি। আর শত শত বোমা মেশিনের কান্দুবস্তি ও নয়াবস্তি এলাকায় সময়ের অভাবে এখনও অভিযান চালানো যায়নি বলেও জানান বিশ্বজিৎ পাল।
‘একাট্টা আ’লীগ-বিএনপি! সবাই সাবাড় করছে জাফলং’ শিরোনামে প্রতিবেদনের পর ঘুম ভাঙে প্রশাসনের। প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা বোমা মেশিনের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে, বললেও কার্যত লোক দেখানো অভিযান পরিচালিত হয়ে আসছে এতদিন।
সারিবদ্ধ হাজার খানেক ‘দানবযন্ত্র’ বোমা মেশিন খাবলে খাচ্ছে জাফলং। বিধ্বস্ত হচ্ছে পরিবেশ-প্রকৃতি। এখন কেবল ধ্বংসযজ্ঞে শেষ পেরেকটুকু মারা বাকি। এই পরিবেশ প্রকৃতি ধ্বংসের নেপথ্যে স্থানীয় আওয়ামী লীগ-বিএনপি, উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন। সকলে একাট্টা হয়ে সাবাড় করছে জাফলং।
পাথর খেকোদের রাক্ষুসে থাবায় হারিয়ে যেতে বসেছে কান্দুবস্তি, নয়াবস্তি, জুমপাড় তথা খাসিয়াদের সংগ্রামপুঞ্জির সবুজায়নটুকুও। এখন কেবল এটুকুই ধ্বংসের বাকি। মঙ্গলবার সেই নিধনযজ্ঞে অবশেষে অভিযান চালায় প্রশাসন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৭
এনইউ/এমজেএফ