বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে বরিশাল জেলা সদরে সোনারবাংলা নামে একটি আবাসিক হোটেল থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
এর আগে শনিবার (১১ অক্টোবর) সকালে রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা পুরান বাজার এলাকার লাল মিয়ার বাড়ির সামনে থেকে তাকে অপহরণ করা হয়।
ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সহিদুল আলম বাংলানিউজকে জানান, ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পুকুরিয়া এলাকার ওসমান মিয়া। দীর্ঘদিন ধরে ভুলতা পুরান বাজার লাল মিয়ার বাড়িতে পরিবার নিয়ে বসবাস করে ম্যাচ পরিচালনা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। সুজন, সুমন, হৃদয় নামে যুবকরা এনজেড স্পিনিং মিলে চাকরি করতো। ১২ দিন ধরে ওসমান মিয়ার ম্যাচে খাওয়া-ধাওয়া করতো ওই যুবকরা। প্রায় সময়ই তারা ওসমান মিয়ার ছেলে রাহিমকে নিয়ে ঘোরাফেরা করতো।
সুজন, সুমন ও হৃদয় শনিবার সকাল ৯টা থেকে ১১টার দিকে পুরান বাজার এলাকার লাল মিয়ার বাড়ির সামনে থেকে রাহিমকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে মোবাইল ফোনে ওসমান মিয়ার কাছে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ করেন। মুক্তিপণের টাকা পরিশোধ না করা হলে রাহিমকে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেন। কোনো উপায় না দেখে অপহরণকারীদের দাবিকৃত টাকার মধ্যে ১০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠানো হয়। এরপরও রাহিমকে ছেড়ে দেয়নি অপহরণকারীরা। পরে ওইদিন রাতেই এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানা পুলিশকে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন ওসমান মিয়া।
পরে অভিযুক্ত শাহিন হৃদয়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বিকেলে বরিশাল জেলা সদরে সোনারবাংলা নামে একটি আবাসিক হোটেল থেকে রাহিমকে উদ্ধার এবং সুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, অপহরণের ঘটনায় অপহৃত শিশুর বাবা ওসমান মিয়া বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠনো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৭
আরবি/