শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন প্রথমবারের মতো সেতুর উপর দিয়ে আশুগঞ্জ স্টেশন অতিক্রম করে ঢাকার দিকে যায়।
এসময় সেতু নির্মাণ প্রকল্পের কর্মকর্তাসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দ্বিতীয় ভৈরব রেলসেতু প্রকল্পের পরিচালক এবং পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) আব্দুল হাই বাংলানিউজকে জানান, ভারত ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে ৫৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে আশুগঞ্জ-ভৈরব মেঘনা নদীর উপর ২০১৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ভারতের ইরকন ও এফকন নামে দু’টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগে রং করা থেকে শুরু করে স্লিপার, রেললাইন ও পাথর বসানোর কাজসহ সেতুর সব কাজ চলতি বছরের জুন মাসেই সম্পন্ন করা হয়েছে। শুক্রবার থেকে সেতুটির উপর দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডগেজ এবং মিটার গেজ লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
তিনি আরও জানান, চলতি মাসের ৯ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
এদিকে দুই সপ্তাহ আগে সেতুটির মোট ১২টি পিলারের মধ্যে ৮, ৯ ও ১০ নম্বর পিলারের সাপোর্টিং ওয়ালের কিনারা নৌযানের ধাক্কায় কিঞ্চিৎ ফেটে যাওয়ায় জনমনে আতঙ্ক দেখা দেয়। অবশ্য পরে সেতুর প্রকল্প পরিচালকসহ রেল কর্মকর্তারা বলেছেন, এতে আতঙ্কিত হবার কিছু নেই। এখানে স্ট্রাকচারাল কোনো ত্রুটি নেই।
২০১০ সালের ৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়ার পর ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে ভৈরব দ্বিতীয় রেল সেতুর কাজ শেষ হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৭
আরবি/