রেজুয়ানুল বড়গাছিয়া গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে। দরিদ্র ঘরে জন্ম হওয়ায় লেখাপড়ার সুযোগ হয়নি তার।
রেজুয়ানুল বলেন, লেখাপড়ায় আমার উৎসাহ দেখে গ্রামের অনেক শিক্ষাবিমুখ মানুষ তাদের ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন এবং লেখাপড়ার প্রতি উৎসাহিত করছেন।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষিত মেয়ের যোগ্য বাবা হিসেবে পরিচয় দেয়ার জন্য বুড়ো বয়সে লেখাপড়া শুরু করেছি।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড় পলাশবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ভোকেশনাল শাখায় উত্তীর্ণ হয়ে নবম শ্রেণির পাবলিক পরীক্ষায় ‘৭১-ড্রেস মেকিং’ ট্রেডের পরীক্ষা দিচ্ছেন তিনি।
রেজুয়ানুল বলেন, আমার মেয়ে দু’বছর পর জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অংশ নিবে। মেয়ের লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ ও মেধা দেখে আমি মুগ্ধ। কিন্তু আমি নিজে অশিক্ষিত। এ কারণে মেয়ের যোগ্য বাবা হিসেবে পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ হয়। তাই এ বুড়ো বয়সে লেখাপড়ার হাল ধরা।
তিনি আরও বলেন, আমার মেয়ে শিক্ষিত হয়ে সমাজে যেন তার শিক্ষিত বাবার পরিচয় দিতে পারে, সে কারণেই আমার এ চেষ্টা। আমি লেখাপড়া করে অন্যদের মতো সমাজ ও দেশের উন্নয়নে এগিয়ে আসতে চাই।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, রেজুয়ানুলের এ বয়সে লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ আমাদের সমাজে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তাকে দেখে লেখাপড়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা শিক্ষার্থীরা নিজেদের লেখাপড়ার প্রতি গুরুত্ব বাড়াবে বলে মনে করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৭
আরবি/আরএ