শুক্রবার (০৩ নভেম্বর) সকালে আরিফ নামের ওই যুবককে আটক করে স্থানীয়রা। তিনি কাউনিয়া জানুকি সিং রোডের সুইপার কলোনির আনিস মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার ভোরে ঢাকা থেকে বাসে করে আসা আমিনুল ইসলাম রিকশায় করে কাউনিয়া বিসিক এলাকার মিরা বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় তার পথরোধ করে কুপিয়ে নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।
এর আগে ঢাকা থেকে লঞ্চে বরিশালে আসা আক্কাস নামে এক ব্যক্তিকেও ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সব কিছু নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। তিনি লঞ্চঘাট থেকে কাউনিয়া যাচ্ছিলেন।
স্থানীয়দের দাবি, উভয় ছিনতাইয়ের ঘটনা কাছাকাছি স্থানেই ঘটে। পরে বিষয়টি স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর একে এম মতুর্জা আবেদীনকে জানানো হয়। তিনি বাংলানিউজকে জানান, জানতে পেরেছি ভোরের দিকে ছিনতাইকারীরা এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে তার সঙ্গে থাকা মালামাল নিয়ে যায় এবং এরআগে অপর এক ব্যক্তিকে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সবকিছু লুটে নেয়। তবে এ সময় ওই ব্যক্তিকে আঘাত না করলেও রিকশা চালককে কুপিয়ে জখম করে ছিনতাইকারীরা।
তিনি আরও জানান, তাৎক্ষণিক আগের একটি ছিনতাইয়ের সূত্র ধরে এলাকার লোকজন নিয়ে খোঁজ লাগিয়ে আরিফকে একটি খাবার হোটেল থেকে ধরা হয়। এরপর আরিফের দেয়া তথ্যানুযায়ী একটি মুখোশ, চাপাতি ও ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা বেলায়েত জানান, আটকের পর উত্তেজিত জনতা আরিফকে মারধর করলে ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে সে। পরে কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে তাকে কাউনিয়া থানা পুলিশের হাতে সোপার্দ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে যে যুবককে আটক করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করার প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৭
এমএস/এসএইচ