শুক্রবার (০৩ নভেম্বর) বিকেলে নিহতের বাবা মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে চৌগাছা থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
আটকরা হলেন- চৌগাছা উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের জিল্লু মৃধার ছেলে আব্দুল জব্বার ও বলু বিশ্বাসের ছেলে আল-আমিন এবং সন্দেহজনক হিসেবে নিহতের ডিস ব্যবসার সাবেক কর্মচারী কোট চাঁদপুর উপজেলার বলাবাড়িয়া গ্রামের খোকাই শেখ ওরফে লেটার ছেলে হাবিবুর রহমান।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শামীম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ইতোমধ্যে মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে আটক করা হয়েছে।
এছাড়াও অন্য আসামিদের গ্রেফতার এবং মোটরসাইকেল উদ্ধারে অভিযান চলছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এজাহারভুক্ত আরও তিন আসামির নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (০২ নভেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে উপজেলার যাত্রাপুর কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার পলাশের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের চাচাতো ভাই সাকিব বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরের থেকে পলাশের মোবাইল বন্ধ ছিল এবং কোথাও তাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে এক ব্যক্তির সংবাদের ভিত্তিতে ক্লিনিকে এসে দেখি, গায়ের জামা দিয়ে দু’হাত বেঁধে রেখে ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে ফেলে রেখে বাইরে থেকে কমিউনিটি ক্লিনিকের তালা মেরে রেখে গেছে। হত্যাকারীরা এসময় তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি নিয়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৭
আরআইএস/