মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বিল্লাল চাপরাশি ও শাহজাহান। দু’জনই পেশায় রংমিস্ত্রি।
রোববার (৫ নভেম্বর) ঢাকার ৮ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত।
২০১৪ সালের ১০ জুলাই বিকেলে বাইরে বেড়াতে গিয়ে হাসান আর ফেরেনি। ডেমরার ক্যামব্রিজ হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল হাসান। নিখোঁজ হওয়ার পর তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। ঘটনার দু’দিন পর পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে। নইলে তার হাসানকে হত্যা করার হুমকি দেয়।
হাসানের বাবা তার ছেলের মুক্তির জন্য তাদের ৫০ হাজার টাকাও দেন। কিন্তু তারা হাসানকে ছাড়েনি। এরপর তিনি ডেমরা থানায় একটি জিডি করেন। ঘটনার ১২ দিন পর হাসানের কয়েক টুকরো বস্তাবন্দি মরদেহ তাদের বাড়ির কাছে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা।
হাসানের বাবার করা জিডি পরবর্তীতে হত্যা মামলা হিসেবে রূপান্তরিত হয়।
২০১৪ সালের ১৮ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডেমরা থানার এসআই নাসির উদ্দিন বিল্লাল চাপরাশি ও শাহজাহানকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। রায়ের আগে চার্জশিটের ২০ সাক্ষীর সবারই সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৭
এমআই/এএ