ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

মিয়ানমারকে চাপ সৃষ্টিতে সিপিসিতে রেজুলেশনের প্রস্তাব

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৭
মিয়ানমারকে চাপ সৃষ্টিতে সিপিসিতে রেজুলেশনের প্রস্তাব রোহিঙ্গা ইস্যু সম্পর্কে ব্রিফিং। ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা:  বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি কনফারেন্সে (সিপিসি) একটি রেজুলেশন গ্রহণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

এই প্রস্তাব আসার পর সিপিএ চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বিষয়টি সিপিএ’র নির্বাহী কমিটিতে তোলা হবে, সেখানে সবার প্রস্তাব অনুযায়ী রেজুলেশনটি যাতে পাস করা যায় সেটা জোরালোভাবে বিবেচনা করা হবে।

রোববার (৫ নভেম্বর) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেইমে সিপিএ সম্মেলনে আসা বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের রোহিঙ্গা ইস্যুটি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অবহিত করা হয়।

সেখানে সিপিএ চেয়ারপার্সন ও জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, সিপিএ সেক্রেটারি আকবর খান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় কানাডা, ইংল্যান্ড, মালয়েশিয়া, মরক্কো, পাকিস্তান, রুয়ান্ডাসহ ১৮টি দেশের প্রতিনিধি এ ব্যাপারে সিপিসিতে একটি রেজুলেশন আনার প্রস্তাব করেন।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রী এএইচ এম মাহমুদ আলী রোহিঙ্গা ইস্যু সম্পর্কে  প্রতিনিধিদের ব্রিফ করেন। সে সময় তিনি রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সংসদ সদস্যদের নিজ নিজ দেশের সংসদ ও প্রাদেশিক পরিষদে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরার আহ্বান জানান।    সেই সঙ্গে তাদের দেশের সরকারগুলো যেন মিয়ানমারের উপরে চাপ সৃষ্টি করে সেই আহ্বানও জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রী।

এসময় তিনি বলেন, আমরা সমস্যা সমাধানে দ্বিপাক্ষিক উদ্যোগ নিয়েছি। আন্তর্জাতিকভাবেও যেন ভূমিকা রাখা হয় সেটা আমরা প্রত্যাশা করি। আমাদের প্রয়োজন এ ব্যাপারে তোমাদের অব্যাহত সমর্থন।

এরইমধ্যে জাতিসংঘের তৃতীয় কমিটিতে একটি রেজুলেশন জমা দেওয়া আছে। আগামী ১৪ নভেম্বর সেই রেজুলেশনের ওপর ভোট হবে। সেখানে বাংলাদেশের পক্ষে সমর্থন দেওয়ার জন্য কমনওয়েলথ দেশগুলোর প্রতি আহ্বান পররাষ্ট্র মন্ত্রী।

প্রতিনিধিদের ব্রিফিং শেষে এ সম্পর্কে সিপিসি’র  মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বিষয়টি সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
 

নাবিল আহমেদ বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রী প্রতিনিধিদের বলেছেন রোহিঙ্গা সমস্যা মিয়ানমারের, তাদের কাছেই সমাধান। তাই এজন্য আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। বাংলাদেশ মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে তাদের সাময়িক আশ্রয় দিয়েছে। তাদের মিয়ানমারে ফেরত নিতে হবে।

রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের বিষয়ে বিদেশি প্রতিনিধিরা কি জানিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা কথা বলেছেন তারা এক বাক্যেই স্বীকার করেছেন যে মিয়ানমারে গণহত্যা হচ্ছে।

বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় সিপিএ প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেছেন বলে জানান তিনি।

যেভাবে রিজুলেশন আনা হতে পারে
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী যে কোন দেশের প্রতিনিধিরা প্রস্তাবটি আনলে সিপিএ’র নির্বাহী কমিটির সভায় আলোচনার মাধ্যমে তা গৃহীত হবে। প্রস্তাব এলে সোম বা মঙ্গলবার সিপিএ সাধারণ সভায় তা গৃহীত হতে পারে।

এদিকে মালয়েশিয়ার প্রতিনিধিদলের এক সদস্য রোহিঙ্গা পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখার জন্য সিপিএ’র একটি প্রতিনিধি দল পাঠানোর প্রস্তাব করেছে। পরে সে বিষয়ে নাবিল আহমেদ জানান, আমাদের সংসদ সচিবালয় নিশ্চয়ই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে এর একটা ব্যবস্থা করবেন।

এ সময় প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে অনেকে সমথর্ন জানিয়ে রেজুলেশন নেওয়ার প্রস্তাব করেছেন।

মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিং এ ছিলেন, সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ, পঙ্কজ দেবনাথ, তানভীর ইমাম, ফজিলাতুন নেছা বাপ্পী প্রমুখ।

বাংলাদেশে সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৭
এসকে/এসএম/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।