সোমবার (০৬ নভেম্বর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাগফুরুল হাসান আব্বাসী তিনজনের কারাদণ্ডের বিষয়টি বাংলানিউজকে জানান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানায়, ভুরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের দেওয়ানের খামার গ্রামের বছির খানের ছেলে পান বিক্রেতা ফরিদ খানের (২৯) সঙ্গে একই গ্রামের ফল বিক্রেতা শহিদুল ইসলামের দশম শ্রেণী পড়ুয়া শিক্ষার্থী লাইজুর (১৫) বিয়ের আয়োজন করেন।
রোববার মধ্যরাত দেড়টার দিকে সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পুলিশসহ অভিযান চালিয়ে বিয়ের আসর থেকে ওই তিনজনকে আটক করে।
পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাগফুরুল হাসান আব্বাসী তার কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বাল্যবিয়ের আয়োজন করায় বর ও কনের বাবাকে দুই মাস ও বরকে এক মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন। কনে নাবালিকা হওয়ায় তাকে শাস্তি দেওয়া হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাগফুরুল হাসান আব্বাসী বাংলানিউজকে জানান, বাল্যবিয়ে একটি সমাজিক ব্যাধি। অভিভাবকরা যাতে বাল্যবিয়ে দিতে সাহস না পায় এজন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে সাজা দেওয়া হয়েছে ও তা অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৭
এফইএস/এএটি