ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

মাটির নিচে বিদ্যুৎ উপ-কেন্দ্র, ওপরে বহুতল ভবন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০১৭
মাটির নিচে বিদ্যুৎ উপ-কেন্দ্র, ওপরে বহুতল ভবন মাটির নিচে বিদ্যুৎ উপ-কেন্দ্র, ওপরে বহুতল ভবন

ঢাকা: ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনাসহ নানা কাজে জমির সর্বোত্তম ব্যবহারের লক্ষ্যে নেওয়া প্রকল্প বাস্তবায়নে রাজধানীর কারওয়ানবাজার এলাকাকে বেছে নিয়েছে সরকার। ব্যস্ততম এলাকাটিসহ আশেপাশের সকল বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা চলে যাচ্ছে মাটির নিচে। আর মাটির ওপরে হচ্ছে ২৪তলার বিশাল ভবন। 

‘ঢাকার কারওয়ানবাজারে ভূ-গর্ভস্থ উপ-কেন্দ্র নির্মাণ’ প্রকল্পটির আওতায় গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সরবরাহ লাইনের সক্ষমতা বাড়ানো হবে। এজন্য মাটির নিচে স্থাপন করা হচ্ছে ১৩২/৩৩ কেভি ও ৩৩/১১ কেভি গ্রিডের ইনডোর টাইপ উপ-কেন্দ্র।

টানেল নির্মাণ করে বিদ্যুতের কেবল সরিয়ে নিয়ে  বিদ্যুৎ বিতরণ সাব-স্টেশনের সংযোগও স্থাপিত হবে মাটির নিচেই।
 
চলতি সময় থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি)। প্রাথমিকভাবে প্রাক্কলিত ব্যয় নির্ধারিত হয়েছে ১ হাজার ৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৬৪৮ কোটি টাকা ঋণ দেবে জাপান ন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।  
 
প্রকল্পের আওতায় কাঁচাবাজার সরিয়ে সেখানকার ৩৫ কাঠা জমিতে ৭০ ফুট মাটির নিচে কারওয়ানবাজার ছাড়াও গ্রিনরোড, ফার্মগেট, মনিপুরিপাড়া, মগবাজার, হাতিরঝিল ও সাতরাস্তা এলাকার বিদ্যুতের সকল কার্যক্রম চলে যাবে।  ফলে এসব এলাকায় আর ঝুলন্ত তার দেখা যাবে না।  

তিনটি ১৩২/৩৩ কেভি (১২০ এমভিএ) পাওয়ার ট্রান্সফরমার ও তিনটি ৩৩/১১ কেভি (৫০ এমভিএ) পাওয়ার ট্রান্সফরমার চলে যাবে মাটির নিচে। তিন সেট ১৩২ কেভি আউটার ব্রেকার, এক লট ১৩২ কেভি আন্ডারগ্রাউন্ড সোর্সলাইনও স্থাপিত হবে।
 
কারওয়ানবাজার প্রকল্প এলাকা থেকে কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ জুড়ে টানেলের মাধ্যমে ৩৩ কেভি ও ১১ কেভি আউটগোয়িং ফিডার কেবল লাইন স্থাপিত হবে। ১০ সেট ১৩২ কেভি জিআইএস (জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম), ১৬ সেট ৩৩ কেভি জিআইএস (জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম) এবং ২৯ সেট ১১ কেভি সুইচগেয়ার থাকবে মাটির নিচে।

মাটির ওপরে নির্মিতব্য ২৪তলা ভবনের চারটি ফ্লোর প্রশাসনিক কাজে ব্যবহার করবে  ডিপিডিসি।  বাকি ২০তলা ভাড়া দেওয়া হবে।  

ডিপিডিসি সূত্র জানায়, ঢাকা নগরীতে নেওয়া এ ধরনের প্রথম এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে এর আগে জাইকার পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ফিজিবিলিটি স্টাডি করে। সবদিক বিবেচনায় গুলশান ও কারওয়ানবাজারকে চিহ্নিত করা হয়। সবশেষে নগরীর গুরুত্ব বিবেচনা করে কারওয়ানবাজারকেই বেছে নিয়েছে সরকার।

ডিপিডিসি’র নির্বাহী পরিচালক (প্রকৌশল) রমিজ উদ্দিন সরকার বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বিদ্যুতের লোড ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।  নতুন প্রযুক্তির উপ-কেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে ডিপিডিসি এলাকায় লোডশেডিং ও বিদ্যুতের কারিগরি লস কমানো এবং নিরাপদ বিদ্যুৎ সরবরাহ ও নতুন গ্রাহক সংযোগ সুবিধা বাড়ানো হবে। ঝড়, বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়াতেও ওইসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে’।

বাংলাদেশ সময়: ০৫৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।