মঙ্গলবার (০৭ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ওই গার্মেন্টসের নিটিং ওপারেটর আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মো. শামীম হোসেন, আব্দুল ওয়াদুদ, মুস্তাফিজুর রহমান, মো. আশরাফুল, মহিবুল্লাহসহ ম্যানুয়াল সেকশনের অপারেটররা।
মানববন্ধনে অপারেটররা বলেন, “ঈদ-উল-আজহার ছুটির পরে আমরা ১১ সেপ্টেম্বর কারখানা খোলার পর কাজে যোগদান করি।
কিন্তু গত ১৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টায় আমরা কাজে যোগদানের জন্য কারখানায় আসার পথে দেখতে পাই কাস্টমস গেটে কারখানার কর্মচারীরা ম্যানুয়াল ফ্লোর বন্ধের নোটিশ হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ওই নোটিস থেকে আমরা জানতে পারি ‘নতুন কাজের অর্ডার পর্যাপ্ত এবং নিশ্চিত না হওয়ার কারণে আগামী ১৮/০৯/২০১৭ তারিখ থেকে ২৫/০৯/২০১৭ ইং তারিখ পর্যন্ত নিটিং ম্যানুয়াল ফ্লোর বন্ধ থাকবে’।
অপারেটররা আরও বলেন, ২৬ সেপ্টেম্বর আমরা কাজে যোগদানের জন্য গেলে আমারা একই ধরনের নোটিশ পাই। সেখান থেকে জানতে পারি ২৬/০৯/২০১৭ তারিখ থেকে ০১/১০/২০১৭ তারিখ পর্যন্ত কারখানা বন্ধ থাকবে। এরপর নোটিশের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা আবারো ০২ অক্টোবর তারিখ কার্ড পাঞ্চ করে কারখানায় প্রবেশ করি। অথচ ০৩ অক্টোবর থেকে ০৯ অক্টোবর তারিখ পর্যন্ত আবারো ম্যানুয়াল ফ্লোর বন্ধের নোটিশ দেওয়া হয়।
শ্রমিকরা বলেন, আমরা যেহেতু পিস রেটে কাজ করি, সারা মাস কাজ না থাকায় অতি সামান্য বেসিক বেতন আমাদের দেওয়া হয়। বেতন দেওয়ার সাথে সাথেই আমরা জানতে পারি অনিবার্য কারণবশত কারখানা বন্ধের নোটিশ দেওয়া হয়েছে ১১/১০/২০১৭ তারিখ থেকে ২৮/১০/২০১৭ তারিখ পর্যন্ত।
এভাবে ৫৮তম দিন পর্যন্ত নোটিশের পর নোটিশ দিয়ে ম্যানুয়েল সেকশন বন্ধ করে রাখা হয়েছে। উপরোন্তু শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে সাময়িক বহিষ্কারাদেশ পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ১২ জনের নামে চিঠি দেওয়া হয়েছে এবং আরও লম্বা তালিকা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন নিটিং সেকশনের শ্রমিকরা।
বক্তারা আরো বলেন, আমরা শুনেছি ম্যানুয়েল সেকশন নাকি বন্ধ করে দেওয়া হবে। মালিক তার কারখানা চাইলে বন্ধ করতে পারেন। কিন্তু আমরা আমাদের জীবনের অনেক সময় এই কারখানার উৎপাদনের পেছনে ব্যয় করেছি। উৎপাদনশীলতার স্বার্থে যখন যেভাবে মালিক চেয়েছেন আমরা শরীরের ওপর জুলুম করেও সেভাবে কাজ করার চেষ্টা করেছি। আমাদের পরিষ্কার দাবি, ম্যানুয়েল সেকশন বন্ধ করা হলে বাংলাদেশে প্রচলিত শ্রম আইন অনুযায়ী আমাদের পাওনাদি পরিশোধ করে তারপর বন্ধ করা হোক। আমাদের বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র করা হলে রাজপথে থেকে এবং আইনি লড়াই লড়েই তা মোকাবেলা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৭
এমজেএফ