মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সকালে হাসপাতালে গিয়ে নাজমার মরদেহ পান তার স্বজনরা। তিনি ছিলেন জেলার শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ি মালিপাড়া এলাকার চান মিয়ার মেয়ে।
নাজমার ফুপা আবুল কালাম বাংলানিউজকে জানান, দুই বছর আগে শরীফ হোসেনের সঙ্গে নাজমা আক্তারের বিয়ে হয়। ৭-৮ দিন আগে গাড়ি কেনার জন্য শ্বশুরের কাছ থেকে শরীফ দুই লাখ টাকা এনে দিতে নাজমাকে চাপ দেন। এ নিয়ে সোমবার (৬ নভেম্বর) রাতে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সকালে শরীফসহ তার বাড়ির লোকজন অসুস্থ অবস্থায় নাজমাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যায়। পরে চিকিৎসকরা নাজমাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে স্বজনরা হাসপাতালে গিয়ে নাজমাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।
আবুল কালাম বলেন, আমাদের পৌঁছানোর আগেই নাজমার স্বামী শরীফ ও তার স্বজনরা মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেছেন।
এ বিষয়ে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক প্রণয় ভূষণ দাস বাংলানিউজকে জানান, মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। বুধবার (৮ নভেম্বর) মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। পরে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৭।
আরএস/এইচএ/