বুধবার (০৮ নভেম্বর) নিজ বাড়ি থেকে ওই বখাটেকে আটক করা হয়। বর্তমানে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে শিশুটিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার (০৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উজিরপুর উপজেলার বড়কোঠা ইউনিয়নের গাববাড়ি গ্রামে ওই শিশু ধর্ষণের শিকার হয় বলে অভিযোগ করেন তার পরিবারের সদস্যরা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পাশের বাড়ি থেকে টেলিভিশন দেখে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় বাসিন্দা সুলতান সিকদারের ছেলে নাঈম সিকদার কৌশলে ওই শিশুটির ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়।
নির্যাতনের শিকার শিশুটির মা বাংলানিউজকে বলেন, ‘কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরলে আমার মেয়ের শরীর থেকে রক্তক্ষরণের বিষয়টি দেখতে পাই। কোনো দুর্ঘটনা ঘটেছে বুঝতে পেরে তাৎক্ষণিক তাকে উজিরপুর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যাই। ’
সেখানে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী ওইদিন রাতেই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় বলে জানান তিনি।
হাসপাতালের গাইনি বিভাগের ডা. তাজমিরা নাসরিন বাংলানিউজকে বলেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় শিশুটির অবস্থা কিছুটা আশঙ্কাজনক ছিলো। তবে বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা কিছু ভালোর দিকে। প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি- শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উজিরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় একই বাড়ির বাসিন্দা সুলতান সিকদারের ছেলে অভিযুক্ত নাঈমকে আটক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৭
এমএস/এমএ