ঢাকা, শনিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

নির্বাচন পর্যবেক্ষক হতে ১৯৯ সংস্থার আবেদন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৭
নির্বাচন পর্যবেক্ষক হতে ১৯৯ সংস্থার আবেদন

ঢাকা: নির্বাচন পর্যবেক্ষক হতে ১৯৯টি বেসরকারি সংস্থা নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করেছে। আবেদনগুলো আইন অনুযায়ী যাচাই-বাছাই করে যাদের যোগ্য বলে মনে হবে তাদেরকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধন দেবে সংস্থাটি। তবে আগে নিবন্ধিতদের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনতে পারে ইসি—এমন চিন্তাভাবনাই এবার করছে ইসি। সেদিক থেকে নতুন কারো নিবন্ধিত হবার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।

নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক মো আসাদুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

২০১১ সালের জানুয়ারিতে ১২০টি সংস্থাকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধন দিয়েছিলেন এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন তৎকালীন নির্বাচন কমিশন।

যাদের মেয়াদ পূর্ণ হয় ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে। এরপর এক বছর বাড়িয়ে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধনের মেয়াদ করেন কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের কমিশন। সে মেয়াদও শেষ হলে গত এপ্রিলে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ায় কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশন। সে মেয়াদ শেষে সম্প্রতি নতুন করে নিবন্ধন দেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে।

এদিকে গত মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সম্পন্ন হওয়া নির্বাচন কমিশনের ধারাবাহিক সংলাপে পর্যবেক্ষক নিবন্ধন দেওয়ার ক্ষেত্রে অরাজনৈতিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আমলে নেওয়ার সুপারিশ করেছেন রাজনৈতিক দল, সুশীল বা নাগরিক সমাজ, নারী প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। যারা নির্বাচন ঠিক মতো নির্বাচন পর্যবেক্ষণ না করবে এবং রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ও পক্ষপাতের প্রতিফলন দেখাবে তাদের নিবন্ধন বাতিলের সুপারিশও করেছেন তারা।

অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনও ভাবছে নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনতে।  পর্যবেক্ষকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সম্প্রতি বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে জানা গেছে, ওই বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঢালাওভাবে নিবন্ধন না দিয়ে নতুন করে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করা যেতে পারে। ’

নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, পর্যবেক্ষকরা অধিকারকে কাজে লাগিয়ে যেন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি না করতে পারে তা নিশ্চিত করা দরকার। এছাড়া তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণের প্রতিবেদন তাদের নিজস্ব সংস্থার কাছে জমা দেন। কিন্তু পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনেও যাতে জমা দেন সে ব্যবস্থাও থাকতে হবে।

নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম বলেন, ইতিপূর্বে নিবন্ধিত ১২০টি সংস্থার সবগুলোকে রাখা যাবে কিনা, বা নতুনভাবে কোনো সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়া যাবে কিনা এ বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। অবশ্যই নিরপেক্ষ ব্যক্তি বা সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়া যেতে পারে। নিবন্ধিত ব্যক্তি বা সংস্থা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ৯১ (সি) অনুসরণ করছে কিনা এ বিষয়টিও মনিটরিং করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৭
ইইউডি/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।