তিনি বলেন, বিগত সরকারগুলো নদী রক্ষায় কাজ না করলেও বর্তমান সরকার ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় এক হাজার কিলোমিটার নৌ-পথ রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে। নদীগুলো খনন করার জন্য আমরা দেশে ২০টি ড্রেজার তৈরি করেছি এবং প্রায় ৭০টি ড্রেজার কিনেছি।
বুধবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ ডাকাতিয়া নদীতে ‘চাঁদপুর-ইচলী-হাজীগঞ্জ’ নৌ-পথের ৫০ কিলোমিটার ড্রেজিং উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, বিগত দুই মাসে আমরা দেশের সাত নদীর খনন কাজ শুরু করেছি। শুষ্ক মৌসুমে দেশের প্রায় সাতশ’ নদীর মধ্যে তিনশ’ নদীই বহমান থাকে না। হারিয়ে যাওয়া নদীগুলো উদ্ধার করতে আমাদের আরো একশ’ ড্রেজার প্রয়োজন। নদীগুলো উদ্ধার করার জন্য সরকার আভ্যন্তরীণ নৌ-পথের ৫৩ রুটে ক্যাপিটাল ড্রেজিং শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এরই মধ্যে প্রথম পর্যায়ের ২৪টির কাজ দৃশ্যমান হয়েছে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে ২৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ব্যয় হবে।
৫০ কিলোমিটার ড্রেজিং উদ্বোধন উপলক্ষে হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে আয়োজিত এক সুধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী।
বিআইডব্লিউটিএ-এর চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর-পাঁচ আসনের সংসদ সদস্য মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ, জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মণ্ডল, পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৭
এসআই