ঢাকা, শনিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

৭ মার্চের ভাষণের স্বীকৃতিতে ২৫ নভেম্বর আনন্দ শোভাযাত্রা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৭
৭ মার্চের ভাষণের স্বীকৃতিতে ২৫ নভেম্বর আনন্দ শোভাযাত্রা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

ঢাকা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় ২৫ নভেম্বর দেশব্যাপী আনন্দ শোভাযাত্রা করা হবে। 

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  

সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রনালয়, বিভাগ, গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

 

ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী জানান, আমরা মনে করি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ‘বিশ্ব ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া জাতির জন্য এবং ইতিহাস ও ঐতিহ্যের জন্য একটি বিরাট অর্জন। বিশ্বের প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে এর অন্তর্ভুক্তির মানে হচ্ছে চিরস্থায়ী বিশ্ব ঐতিহ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ততা।  

তিনি বলেন, এই বিরাট অর্জন উদযাপনের লক্ষ্যে ২৫ নভেম্বর বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের তথা সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনগুলোর অংশগ্রহণে দেশব্যাপী আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।  

মুখ্যসচিব আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্ব সম্পর্কে জনগণকে, বিশেষত শিক্ষার্থীদের এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানোনো জন্য এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।  

তিনি আরও জানান, এই উদযাপন শুধুমাত্র উৎসবেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং এটা হবে সচেতনতা সৃষ্টির কর্মসূচি, যাতে শিক্ষার্থীরা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পারে।  

এই স্বীকৃতিকে বাঙালি জাতি ও বাংলা ভাষার জন্য বিশাল গৌরব হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবাইকে- বিশেষত শিক্ষার্থীদের, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্ব সম্পর্কে জানা উচিত।

কামাল আবদুল নাসের বলেন, তাদের জানা উচিত ‘মেমোরি অব ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্ট্রার’ কি এবং বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য কি।  

তিনি আরও বলেন, এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জানানোর জন্য আমরা প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ ক্লাস নেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ সংরক্ষনের উদ্যোগ নেয়া হবে উল্লেখ করে মুখ্যসচিব বলেন, জাতির গৌরব এই ভাষণটি প্রদর্শনের জন্য সব পাবলিক লাইব্রেরিতে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এটি রাখা হবে।  

তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের উপর কুইজ ও সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতার মত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে।  

মুখ্য সচিব বলেন, ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্য সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করতে দেশজুড়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কনসার্টের আয়োজন করা হবে। ভাষণটি বিভিন্ন ভাষায় সম্প্রচার করা হবে যাতে বিশ্ববাসী এর সম্পর্কে জানতে পারে। এ কাজে আমরা বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোকে উৎসাহিত করব।  

৩০ অক্টোবর ইউনাইটেড নেশন এডুকেশন, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন (ইউনেস্কো) ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে (ওয়ার্ল্ড ডকুমেন্টারি হেরিটেজ) বিশ্বে প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। প্যারিসে ইউনেস্কোর প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক ইরিনা ভোকোভা এই ঘোষণা দেন।

বর্তমানে ম্যামোরি অফ ওয়ার্ল্ড রেজিস্ট্রারে সব মহাদেশগুলো থেকে ৪২৭টি প্রামাণ্য দলিল ও সংগ্রহ তালিকাভুক্ত রয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৭
এমইউএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।