শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে রামপুরা বনশ্রী থেকে ফেন্সির ও বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) রাতে দক্ষিণখান কাউলা এলাকার একটি বাসা থেকে মরদেহ ২টি উদ্ধার করা হয়।
মৃত ফেন্সির গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর মাইজদী উপজেলার শ্যামপুর গ্রামে।
রামপুরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নয়ন চন্দ্র দেবনাথ জানান, বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী জহিরুলের সঙ্গে ফেন্সির কথা কাটাকাটি হয়। শুক্রবার সকালে জহিরুল ঘুম থেকে উঠে রুমে ফেন্সিকে দেখতে পাননি। এরপর তিনি বাসার বাথরুম ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পান। অনেক ডাকাডাকির পরও না খুললে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। বাথরুমের ভেতরে ভেন্টিলেটরের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ফেন্সিকে দেখতে পান। সকাল ১১টার দিকে পুলিশ গিয়ে ফেন্সির মরদেহ উদ্ধার করে।
এদিকে দক্ষিণখান থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) কাওসার আহমেদ জানান, বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ২টার দিকে কাউলা মধ্যপাড়া জমিদার বাড়ি এলাকার একটি বাসা থেকে রিতার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রিতা রংপুর পীরগাছা উপজেলার গাবুড়ারচর গ্রামের আব্দুল মালেকের মেয়ে। বর্তমানে কাউলার ওই বাসায় স্বামী সোহেব রানার সঙ্গে থাকতেন।
এসআই কাওসার জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে রিতা রুমের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন। পরে পরিবারের লোকজন দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে।
ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ দুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৭
এজেডএস/আরআর