ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বেনাপোলে ২ ঘণ্টা পর যাত্রী যাতায়াত ও বাণিজ্য স্বাভাবিক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৭
বেনাপোলে ২ ঘণ্টা পর যাত্রী যাতায়াত ও বাণিজ্য স্বাভাবিক

বেনাপোল(যশোর): বেনাপোল আন্তর্জাতিক কাস্টমস-ইমিগ্রেশনে যাত্রীর কাছ থেকে ঘুষ দাবিকে কেন্দ্র করে কাস্টমস ও পুলিশের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনার দুই ঘণ্টা পর যাত্রী যাতায়াত ও আমদানি-রফতানি কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়েছে।

তবে পুলিশ ও কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, একে অপরের অনিয়মের প্রতিবাদ করায় এ ঘটনা ঘটেছে।   

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ৮টায় আমদানি-রফতানি বাণিজ্য শুরু ও আটক থাকা যাত্রীরা ইমিগ্রেশন-কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।

জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় ইমিগ্রেশন পুলিশের কনস্টেবল মোস্তাক ও আলতাফ দুই যাত্রীকে সঙ্গে নিয়ে কাস্টমসে যান। এসময় ওই যাত্রীর সঙ্গে মালামাল বেশি থাকায় কাস্টমস সদস্যরা ঘুষ দাবি করেন। অন্যথায় মালামাল সিজার করার হুমকি দেন। এনিয়ে পুলিশ ও কাস্টমস সদস্যদের মধ্যে তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। পরে দুইপক্ষের অন্যান্য সদস্যরা ছুটে এসে উত্তেজিত হয়ে ভবনের আসবাবপত্র ও গ্লাস ভাঙচুর করেন। এসময় দু’পক্ষের কয়েকজন সামান্য আহত হন। পরে পোর্টথানা পুলিশ ও কাস্টমসের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এলে দুই ঘণ্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তবে উভয়পক্ষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
 
যাত্রী শাখাওয়াত হোসেন (পাসপোর্ট নং- বিএম-০৭০৫৭২০) জানান, তিনি ভারত থেকে ফিরে ইমিগ্রেশন থেকে বের হওয়ার পথে কাস্টমস সদস্যরা তার সঙ্গে থাকা কেনাকাটার জন্য ঘুষ দাবি করে। পরে তিনি বিষয়টি ইমিগ্রেশন ওসির কাছে অভিযোগ জানান। এসময় ওসি কাস্টমস রাজস্ব কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানালে ওই রাজস্ব কর্মকর্তা তাকে লাঞ্চিত করে এবং ওসিকে অপমান করেন। এতে ইমিগ্রেশনের অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা প্রতিবাদ করলে কাস্টমস ও পুলিশের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিসহ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।  

কাস্টমস অফিসার্স ইউনিয়নের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাঙালি জানান, পুলিশ সদস্যরা লাগেজ ব্যবসায়ীদের অনিয়ম করে মালামাল পার করার চেষ্টা চালালে কাস্টমস সদস্যরা বাধা দেয়। এসময় উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।  

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক জানান, প্রায়ই যাত্রীরা কাস্টমসের অনিয়মের বিষয়ে তার কাছ অভিযোগ জানিয়ে আসছেন। কেউ ঘুষ দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তার সঙ্গে অসদাচারণ ও সঙ্গে থাকা পণ্য সিজার করে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়। হয়রানির বিষয়টি কাস্টমস কর্মকর্তা নজরুল ইসলামকে জানানো হলে তিনি একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে অসদাচরণ করেন।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, পুলিশ সদস্যরা অবৈধভাবে ল্যাগেজ ব্যবসায়ীদের মালামাল পার করার চেষ্ঠা করায় বাধা দেওয়া হলে তারা প্রথমে কাস্টমস সদস্যদের উপর চড়াও হয়। এনিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।

বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত ওসি) ফিরোজ আহম্মেদ  বাংলানিউজক  জানান, ওই যাত্রী তাকে লাঞ্ছিত ও মালামাল আটকে ঘুষ চাওয়ার বিষয়ে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। বন্ধ হয়ে পড়া আমদানি-রফতানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০২৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৭
এজেডএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।