ঢাকা, শুক্রবার, ৩ মাঘ ১৪৩১, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

অভিজিৎ হত্যায় অধরা আরো ৫

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৮
অভিজিৎ হত্যায় অধরা আরো ৫

ঢাকা: বিজ্ঞান মনস্ক লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনার তিন বছরে মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এছাড়া এখন পর্যন্ত তদন্তে ঘটনার সঙ্গে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার-আল ইসলামের প্রধান বহিষ্কারকৃত মেজর জিয়াসহ আরো ৫ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে, যারা পলাতক রয়েছেন বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী সংস্থা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত অনানুষ্ঠানিক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

মনিরুল ইসলাম বলেন, অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের তিন বছর হচ্ছে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি (সোমবার)। শুরু থেকে মামলাটি ডিবি তদন্ত করছিলো। সে সময় র‌্যাব ও ডিবি মিলে এ ঘটনায় সাতজনকে গ্রেফতার করে এবং মুকুল রানা নামে একজন ডিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়।

প্রায় তিনমাস আগে মামলার তদন্ত ভার পায় কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। এরপর মোজাম্মেল হোসেন সায়মন, আরাফাত ওরফে শামস ওরফে সাজ্জাদ ও আবু সিদ্দিক ওরফে সোহেল নামে তিনজনকে গ্রেফতার করে সিটিটিসি। যারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের জবানবন্দি অনুযায়ী এবং এ পর্যন্ত তদন্তে গ্রেফতার বাকি সাতজনের এখনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।

‘সিটিটিসির হাতে গ্রেফতার তিনজনই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া তদন্তে মেজর জিয়াসহ আরো ৫ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ২-১ জনকে গ্রেফতার করা গেলে তদন্ত শেষ হবে এবং আদালতে চার্জশিট দিতে পারবো’।

সিটিটিসি প্রধান আরো বলেন, তিনজনকে গ্রেফতারের মাধ্যমে আমরা এ মামলার তদন্ত কাজ শেষ করে এনেছি। এখন পর্যন্ত মামলার বিচার কাজ চালিয়ে নেওয়ার মতো যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ পেয়েছি। সনাক্ত হওয়া বাকি ৫ জনের মধ্যে কাউকে গ্রেফতার করা না গেলেও বেশিদিন আর মামলাটি ধরে রাখবো না, শিগগিরই চার্জশিট দিয়ে দেবো।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অভিজিৎকে খুন করার পেছনে কোনো ব্যক্তিগত আক্রোশ ছিলো না। মূলত তার লেখালেখির কারণেই সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অভিজিৎকে খুন করা হয়। যেহেতু অভিজিৎ বিদেশে ছিলেন তাই তিনি কবে দেশে আসবেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মনিটরিং করে এবং তাদের ইন্টেলিজেন্স উইং থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সার্ভিলেন্স উইং তাকে খুনের পরিকল্পনা করে।

অভিজিৎকে অন্য জায়গায় খুন করার সিদ্ধান্ত থাকলেও সুযোগের অভাবে বই মেলাতেই ঝুঁকিপূর্ণ অপারেশন চালায় তারা। আর এই অপারেশনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ঘটনার সময় আনসার-আল ইসলামের প্রধান মেজর জিয়াসহ শীর্ষ নেতারা ঘটনাস্থলে ছিলেন।

মেজর জিয়ার অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সে পলাতক বলেই আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে। কয়েকমাস আগে সে দেশে ছিলো, এখন কোথায় আছে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। দেশে থাকলেও নিষ্ক্রিয় অবস্থায় কোথাও আত্মগোপনে আছে কিংবা বিদেশে রয়েছে।

আনসার-আল ইসলামের বর্তমান কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাদের কার্যক্রম মূলত অনলাইনভিত্তিক। বর্তমানে কোনো অপারেশনাল কর্মকাণ্ডে নেই বলে আমরা জানি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৮/আপডেট: ১৪১০ ঘণ্টা
পিএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।