ঢাকা, শনিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

মোবাইল ব্যাংকিং-অনলাইন লেনদেনে নজরদারি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৮
মোবাইল ব্যাংকিং-অনলাইন লেনদেনে নজরদারি জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ কমিটির অষ্টম সভা বক্তব্য রাখেন কমিটির প্রধান ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু

ঢাকা: জঙ্গি অর্থায়ন রুখতে কুরিয়ার সার্ভিস, মোবাইল ব্যাংকিংসহ সব অস্বাভাবিক অনলাইন লেনদেন নজরদারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সন্দেহজনক জঙ্গি অর্থায়ন নজরদারি করতে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ কমিটির অষ্টম সভা শেষে কমিটির সভাপতি শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এ তথ্য জানান।
 
এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানরা।

যে অর্থের মাধ্যমে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটে তার উৎস বের করার জন্য এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, সভায় বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সংগঠনের অনুকূলে অর্থের অস্বাভাবিক লেনদেন তথা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের অসঙ্গতি দেখলে বাংলাদেশ ব্যাংক, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং গোয়েণ্দা সংস্থাকে অবহিত করা।

‘মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নিয়ম-কানুন রয়েছে। ফরম, এনআইডি, সিম যেন ফলো করা হয়। এর যেন ব্যত্যয় না ঘটে সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া। বিদেশ থেকে আসা বিভিন্ন অর্থ জঙ্গি তৎপরতায় ব্যবহৃত হচ্ছে কিনা- সে বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধিকরণ। ’
 
তিনি বলেন, জাল নোটের প্রতিরোধ কার্যক্রম আরও জোরদার করা হচ্ছে। কুরিয়ার সার্ভিস, মোবাইল ব্যাংকিংসহ সব অস্বাভাবিক অনলাইন লেনদেন মনিটরিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সন্দেহজনক টেলিযোগাযোগের মাধ্যমে জঙ্গি অর্থায়ন হচ্ছে কিনা- সে বিষয়ে নজরদারি চলছে।

‘আর্থিক লেনদেনের অঙ্গতি রোধে জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি সেগুলো মনিটর করবে এবং সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। ’

আমির হোসেন আমু বলেন, জঙ্গিবাদের অর্থের উৎস অনুসন্ধান করে জানা যায় মূলত তিন ধরনের ব্যক্তি জঙ্গিবাদে অর্থায়ন করে। জঙ্গি নিজে, জঙ্গিবাদের সমর্থক ব্যক্তি, জঙ্গিবাদে সহানুভূতিশীল ব্যক্তি। নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণি অর্থাৎ সমর্থক এবং সহানুভূতিশীল ব্যক্তির ব্যাপারে খোঁজ-খবর রাখে এবং সেগুলোর ব্যাপারে নজরদারি রাখছে।  
 
সীমান্তে অবৈধ লেনদেন, আদান-প্রদান বা চলাচল, স্থানান্তরের বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সীমানায় সঙ্গে জড়িত অন্যান্য দেশের সঙ্গে সমঝোতা অনুযায়ী একসঙ্গে কাজ করবো।  

জঙ্গিবাদে অর্থায়ন রোধে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা চেয়ে কমিটির প্রধান বলেন, আমাদের দেশের মিডিয়ার ভূমিকা থাকা উচিত। এ বিষয়গুলো ভালোভাবে প্রচার করা, যে অসঙ্গতিপূর্ণ লেনদেন, অসঙ্গতিপূর্ণ ব্যাংকিং সিস্টেম না করা, যারা মোবাইল ব্যাংকিং করে তাদের মধ্যে অসঙ্গতি না রাখা। এ ব্যাপারে সরকার যে কঠোর ও আইন প্রয়োগ করা হবে- এগুলো যাতে ভালোভাবে প্রচার করা হয়। তাহলে এ কাজগুলোর সঙ্গে যারা জড়িতরা ভয় পাবে। আমাদের কাজ করতে সুবিধা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদের যে উত্থান ছিলো সেটা এখন নেই, ক্রমান্বয়ে এটাকে শেষ করে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অত্যন্ত সফলভাবে করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৮
এমআইএইচ/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।