বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) দুপুরে ওই ব্যবসায়ীকে ধাওয়া করে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। খোরশেদকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা করতে গিয়ে আরও চারজন আহত হন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উত্তর ষোলপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক আমিনপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য জাফর আলীর ছেলে সুলতান আহম্মেদের সঙ্গে ফজর আলীর ছেলে বিসমিল্লাহ ডেকোরেটরের মালিক খোরশেদ আলমের জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল।
এ বিরোধের জেরে দুপুরে বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে খোরশেদকে একা পেয়ে সুলতান আহম্মেদের নেতৃত্বে তার ছেলে সিফাত, ফাহাদ ও ৫-৭ জনের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে খোরশেদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে জখম করে। এসময় তার আত্মীয়-স্বজনরা এগিয়ে এলে সোহাগ, সজিব, নুরুল ইসলাম ও সিরাজুলকেও কুপিয়ে জখম করে তারা। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক খোরশেদকে মৃত ঘোষণা করেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, জাফর আলী মেম্বারের ছেলে সুলতান আহম্মেদ এলাকার বিভিন্ন মানুষের জমির দলিল জাল করে মানুষের জমি দখলের চেষ্টা করছে। তার বিরুদ্ধে কথা বললেই হামলা, মামলার ভয় দেখায়।
নিহতের চাচাতো ভাই সোহাগ বলেন, সুলতান আমাদের জমির দলিল জাল করে বাড়িঘর দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। দুপুরে একটি জমিতে জোরপূর্বক খুঁটি দিয়ে দখল করে। এসময় খোরশেদ জমির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা চাপাতি দিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করে। তার চিৎকারে এগিয়ে গেলে আমাদেরও কুপিয়ে জখম করে।
নিহতের চাচা নুরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, সুলতান, তার দুই ছেলে ও ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা জমি সংক্রান্ত বিরোধে আমার ভাতিজাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এর আগেও বিরোধে সুলতান কক্সবাজারের একটি অস্ত্র মামলায় আমাদের নামের ভুয়া ওয়ারেন্ট বের করে হাজত বাস করায়। আমি আমার ভাতিজার হত্যার বিচার দাবি করছি।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম পিপিএম জানান, জমি সংকান্ত বিরোধে খোরশেদকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৮
আরআর